আমার আলমা ম্যাটার শাবিপ্রবিতে গত তিরিশে অগাস্ট ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা উপাচার্যের প্রশ্রয়ে আমার প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর যে শারীরিক হামলা করা হয় তাতে আমি ভয়াবহ ক্ষুব্ধ। আমার ক্ষোভের কারণ দুইটি - প্রথমত: এটি একটি ভয়ংকর অন্যায় যেটি হওয়ারই কথা ছিল না। দ্বিতীয়ত: এরকম ঘটনা শাবিপ্রবিতে এই প্রথম ঘটেনি। নিশ্চয়ই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে আমাদের ব্যর্থতা এই পরিবেশটি অব্যাহত রাখছে বছরের পর বছর।
২০১৪ সালে অন্য একটি ঘটনায় সচলায়তনেই আমি একবার শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে একটি লেখা দিয়েছিলাম। সেবারের মত এবারও চিহ্নিত করার সাহসী কাজটি করেছে আমার কিছু বন্ধু যারা এসব ব্যাপার আরো বিস্তারিত জানে। আমি শুধু মাত্র এখানে পোস্ট করছি।
ছবি ১:
সোনায় মোড়ানো ছাত্রলীগের যদি হইতা
দিনেদুপূরে চাপাতি দিয়া তামাম বিশ্বজিতরে টুকরা টুকরা কইরাও
প্রাইমিনিস্টারের হাত থিকা নিতা পারতা শ্রেষ্ঠ সাঁতারুর পুরস্কার;
যদি হইতা ছাত্রদলের কেউ, কাদের মোল্লারে সত্যায়ন দিয়া জিব্রাইলের ডানায়,
লাশের অপেক্ষায় ককটেল ফুটাইতে ফুটাইতে তুমি
পথে প্রান্তরে উড়াইয়া দিতা ম্যাডামের গোলাপী হরতাল
আর খোয়াবে দেখতা হাওয়া ভবনের ম্যাজিক রিয়ালিজম;
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ গোটাতে হবে- সরকার তথা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের এমন মনোভাবেরই খবর পাওয়া গেছে। মঞ্চ যেন তাদের বাপ দাদার তালুক- ব্যাপারটা এমনই। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ কি আওয়ামী লীগের কথায় হয়েছে? নাকী আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাই “ ক তে কাদের মোল্লা তুই রাজাকার” বলে মঞ্চের খুটিখানা গেড়ে দিয়েছিলো? আওয়ামী লীগ-বিএনপির ডাকে আজকাল কেউ কি আসে?
সম্প্রতি বাংলাদেশে খুব আশ্চর্য একটা ঘটনা ঘটে গেলো। আমাদের অতি পরিচিত শাহবাগ মোড়ে এক জন দু'জন করে সমবেত হলো হাজার হাজার মানুষ। কে তাদেরকে ডেকে আনলো? দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর পল্টনে জনসমাবেশ ডাকে- আমরা দেখি। সেখানে দলীয় ব্যনার হাতে, দলীয় শ্লোগান মুখে অনেক লোক হাজির হয়। তাদের ডাক ছাড়া এতো লোক একসাথে হতে পারে- ভাবাই যায় না।অথচ শাহবাগে সবার চোখের সামনে সেটাই ঘটলো।আমাদের দেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল।
গতকাল মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটিয়েছে সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রকাশ্য দিবালোকে শত শত মানুষ এবং টিভি ক্যামেরার সামনে তারা কুপিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলছে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবককে। এখন প্রযুক্তির যুগ।তুমুল গতিতে এ সংক্রান্ত ছবি এবং ভিডিও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে দেরী হয়নি।
শুরুতেই বলে রাখি এই পোস্টটি একেবারেই খটমটে কাজেই যারা পড়বেন সম্পূর্ণ দায়িত্বে পড়বেন এবং যারা শেয়ার করবেন তারাও অবশ্যই নিজ দায়িত্ব শেয়ার করবেন ।
কেস স্টাডি ০১
শুরুতেই আপনাদের একটা দুঃসংবাদ দিই। দুঃসংবাদটি প্রথম শুনি আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে। ওর জবানীতেই বলিঃ
সচলায়তনের যারা নিয়মিত পাঠক অথবা যারা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখেন তারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন বুয়েট এ ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ন্যক্কারজনক মারামারিগুলো নিয়ে। এর পেছনে কারা আছে তা কমবেশি সবাই জানে। কিন্তু সমস্যা হলো প্রশাসন এদের পক্ষে বিধায় আইনগত ভাবে এদের কিছু করা আপাতত সম্ভব নয়।