যেদিন আমি জন্মেছিলাম সেদিনের পত্রিকায় কি ছিল সেটি দেখার কৌতুহল ছিল অনেকদিন। তাই ইত্তেফাকের সেদিনের পত্রিকার চোখ খুলে ছানাবড়া হয়ে গেল। আমাদের ইতিহাসের এই অধ্যায় আমি জানতামই না! চারশ' বাংলাদেশী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিল? তারা এখন কোথায়? আমি ১৯৮২ সালের ১২ই জুলাই পত্রিকার ক্লিপিংসগুলো এখানে দিয়ে দিলাম।
ইসরাইল-ফিলিস্তিন খুনোখুনি চলছিলো কিছুদিন আগেই, এখনো চলছে। তবে, এখন কেন জানি সব ঝিমিয়ে গেছে, হ্যাশট্যাগ দেখি না, স্ট্যাটাস দেখি না, কান্নাকাটিও চোখে পরে না। আমি ফেসবুক দেখে মানুষের আবেগটা যদি বোঝার চেষ্টা করি, তবে যা যা পাবোঃ
১। হ্যাশট্যাগ
২। স্ট্যাটাস
৩। বাংলার বুকে ফিলিস্তিনি ভাইদের নিয়ে আসার জন্যে কান্না (সাথে রোহিঙ্গাদের কেন ঢুকতে দেইনা, চিপায় বলে নেয়া)
৪। যুদ্ধে যাবো, জিহাদি হবো (এইটা ফেবুতে বেশি, কাজে কম)
৫। কিভাবে সাহায্য করা যায়, সে উপায় বের করা ইত্যাদি ইত্যাদি
আমি পঞ্চম ব্যাপারটি নিয়ে আগ্রহী, কারণ ওটি সবচেয়ে কার্যকরী হতো এবং কোনভাবে কি সম্ভব?
‘উঁহু, এটা নয়, ওইটা এখানে !’
‘হাঁ হাঁ, এটা ঐদিকে !’
ছিন্নভিন্ন দেহাংশগুলো সাজাতে সাজাতে
সন্ত্রস্ত ফিসফিসানিগুলো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
পিতার বন্ধুদের সংখ্যা কমতে কমতে সামান্য ক’জনে এসে দাঁড়িয়েছে,
কী আশ্চর্য ! ‘কোলে এসো’ বলে একবারও হাত বাড়ালো না কেউ !
‘কিন্তু এই জায়গাটা খালি যে !’
এমন অদ্ভুত প্রশ্নের নিরুত্তর মর্ম খুঁজে তন্নতন্ন হয় একজোড়া শৈশব আকাশ,
‘আয় বাবা বুকে আয়’ ডাকে যে...
প্রতিদিন সকালে উঠে মনটা খারাপ হয়ে যায়।
এক কাপ চা হাতে নিয়ে যখন টিভির সামনে বসি---চোখের সামনে ভীড় করে কিছু দৃশ্য। অনেক দিন ধরে দেখা, অনেক দিন ধরে চেনা দৃশ্য। তারপরও প্রতিটি বার, প্রথম বারের মত তীব্রতা নিয়ে আঘাত করে।
সি এন এন -এর সকালের খবর। এক মুখ হাসি নিয়ে সংবাদ পাঠিকা জানাচ্ছেন---- আজ আমেরিকার কোথায় ঝড় আশংকা করছেন, কখন ওবামার মন্ত্রী সভা শপথ নেবে, তেলের দাম আবার বাড়বে কি না, দিন কে দিন ...