আজি যত তারা তব আকাশে
সবে মোর প্রাণ ভরি প্রকাশে।।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
একদিন সূর্য মারা যাবে। তার নিউক্লীয় সংযোজন বিক্রিয়ার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। তখন পৃথিবী যদি আদৌ টিকে থাকে তবে তার আকাশে আলোর খরা নেমে আসবে আর মানুষ সব এক চিরশীতের দেশে বন্দি হবে।
ধানের রসের গল্প পৃথিবীর—পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, বিশুষ্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব করে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তীব্রতায়।
— জীবনানন্দ দাশ, সিন্ধুসারস (মহাপৃথিবী)
আজ থেকে ২০ বছর আগেও আমরা জানতাম না যে সূর্য ছাড়া আর কোন তারার গ্রহ রয়েছে। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তথাকথিত বহির্জাগতিক গ্রহ বা বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হতে শুরু করে। সম্প্রতি কেপলার পৃথিবীর সমান বা তার চেয়ে কিছুটা বড় গ্রহও আবিষ্কার করতে পারছে। আজকের হিসাব অনুযায়ী: আবিষ্কৃত মোট বহির্গ্রহের সংখ্যা ৭২৩। গ্রহ আবিষ্কারের সবচেয়ে কার্যকর এবং তথাপি জনপ্রিয় পদ্ধতি দুটি হচ্ছে অরীয় বেগ (radial vel
সেই ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সচলে "আরেকটি পৃথিবী" নামে একটি ধারাবাহিক রচনা শুরু করেছিলাম। আজকে সেটা ঘাঁটতে গিয়ে মনে হল কতদিন পার হয়ে গেছে। যাহোক, দেরি করে হলেও সেই প্রাচীন ধারাবাহিক আবার শুরু করলাম এই লেখার মাধ্যমে। কারণ গতকাল যা ঘটেছে তার পরে সেটি শুরু না করলে অপরাধ হবে। গতকাল নাসা-র এইমস গবেষণা কেন্দ্র পৃথিবীতুল্য আকারের দুটি বহির্গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। বাসযোগ্য না হলেও এই ঘটনায় যথেষ্ট উৎফুল্ল
কোন ক্লাস এর বইয়ে যেন আর্মস্ট্রং-অলড্রিন-কলিন্স এর চন্দ্রাভিযানের বর্ণনা পড়েছিলাম। সেখানেই প্রথম "শান্তির সাগর" নামটার সাথে পরিচয়। অ্যাপোলো ১১ চাঁদে "শান্তির সাগর" নামে একটা জায়গায় অবতরণ করেছিল। প্রথমবার পড়ার পর অন্য অনেকের মত আমিও ভেবে বসেছিলাম, এটা বোধহয় পৃথিবীর মত কোন সাগর। কিছুতেই মাথায় ঢুকছিল না, মাটি বাদ দিয়ে নভোযান কেন সমুদ্রের মাঝখানে অবতরণ করবে। সেসব কনফিউশন এর কথা ম...কোন ক্লাস এর বইয়ে য
আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আগে আমাদের পূর্বপুরুষ অস্ট্রালোপিথেকাস অ্যাফারেনসিসরা সূর্যগ্রহণ দেখে অন্য সব পশুপাখির মত ছুটাছুটি শুরু করতো। আজকের বিবর্তিত দিনের ঘটনা সেরকম হবে না। আজ সকালে নীড় থেকে খাবারের সন্ধানে বের হওয়া পাখিগুলো খাবার পেতে না পেতেই আবার নীড়ে ফিরতে বাধ্য হবে। সংশয়ী পাখিরা হয়ত এই আকস্মিক অপচ্ছায়া দেখে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবে, ছুটোছুটি করতে থাকবে। কিন্তু আমরা স...আজ থেকে চল্লিশ লক্ষ বছর আ
এটাকে আসলে "আরেকটি পৃথিবী" সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব বলা যায়। তবে প্রথম পর্ব না পড়লেও এটা পড়তে কোন সমস্যা হবে না। অনেক দেরি হয়ে গেছে বিধায় একটা স্বাধীন নাম দিলাম। প্রথম পর্বে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের কাহিনী বলেছিলাম। এতে থাকছে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের পদ্ধতি। সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতিটার কথা লিখব, এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি আছে।
কত বড় হয়ে গেছি। অমাবস্যার রাতে, চিত হয় শুয়ে, আকাশের দিকে মেলে ধরা চোখ দিয়ে দেখা তারাগুলো আমাকে আর বিস্মিত করে না। মাঝেমাঝে তাই খুব আফসোস হয়। আজ থেকে কয়েক সহস্র বছর আগে, যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন আকাশ থেকে ধপ করে খসে পড়া একটা আলোকবিন্দু আমাকে বিহ্বল করতো। শতকের পর শতক বিহ্বল হয়ে থাকতাম। আর আজকে আমার বিহ্বলতা ঠাঁই নিয়েছে বুধ গ্রহের কক্ষপথে। নাহ, বুধ গ্রহের ব্যতিক্রমী আচরণ দেখেও তো আর বি...কত বড় হয়ে গেছ
আগে যাচ্ছেতাইভাবে স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু দিনে দিনে অনেক ম্যাচ্যুরিটি এসেছে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু জিনিস আগের চেয়ে এলোমেলো হয়েছে, কিছু জিনিস আবার গোছালো হয়েছে। এই যেমন, স্বপ্নের বিষয়টা। এখন দুই ভাগে ভাগ করে স্বপ্ন দেখি: বাস্তব স্বপ্ন এবং অবাস্তব স্বপ্ন। ক্লাস নাইন-টেনে থাকতে অবাস্তব মনে হতো এমন কিছু স্বপ্ন অবশ্য এখন বাস্তব স্বপ্নে পরিণত হয়েছে, উল্টোটাও যে হয়নি তা না। তবে সোজ...