ভুমিকায় কবি বলছেন - এ কবিতাগুলো আমার বড়ো আদরের, ভালবাসার। খুবই নাজুক কবিতা, একটু বকাঝকা করলে কেঁদে ফেলবে, চড় মারলে তো বিপদ। চিৎকার চেঁচামেচি জুলুম আর ঝঞ্জাপীড়িত দুনিয়ায় এই নীরব আলুলায়িত কবিতার শরীর ভেতরে যে একটি প্রান্তিক বেদনার আত্মাকে ধারন করে আছে, সেইখানে নিমন্ত্রন।
সাধারন দুস্তবকের অক্ষরবৃত্তের হিসাব থেকে ইচ্ছে করেই দ্বিতীয় স্তবকে একটি লাইন কমালাম। চলনে একটি বিঘ্ন থাক...
ধনঞ্জয় রাজকুমার
আ মা র ক বি তা
এক.
নিজেদের নিষ্ঠুর যন্ত্রনার অস্তিত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। এবার তো আমাদের হৃৎপিন্ড ফালি করা ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে কবিতা লেখবো। গভীর রাতে ঘুমের ভেতরে আমরা চিৎকার করে উঠি। কবিতা তুমি বিশুদ্ধ, তুমি পবিত্র, তুমি আমার ঘৃণা - মৃত্যু - পাপ - ঈশ্বর। ঈশ্বরের সাথে তুলনা করতে যেয়ে দেখি আমি কতখানি নিম্নজ, কতখানি অসহায়। আমাকে অংহকারী কর। আমি কবিতা লিখি, আমা...
এখানে ছিল
এখানে থোকা থোকা হলুদ ছিল, ভেসে গেল দুরে। কোনো তীর বিদ্ধ করেছে
এই অসহায় কণ্ঠ। আঙুল থেকে ঝড়ে পড়ে বিষের প্রপাত। অশ্রুর চুঁড়ায় ঝরে
জন্মান্তরের বিস্মৃত ঋতুটির মতোন ম্লান কোনো সাজ।
শব্দ সমুদ্রের পারে বধিরপুরুষ এক ভিক্ষা মাগে। ফিরে গেছে তীর। নীল জামা
ছেড়ে আকাশ রোদ্দুরে পথ চেয়ে আছে।
দুটি চড়াই, গেরুয়া প্রকৃতি, অসহায় ভূমি, উপবাস, স্মরন, মনে করা, ভুলে