[যারা কবিতা শুনতে জানে না, তারা অনেককিছুই জানে না, যেইটা জানে তা কমু না]
.
খেলাপির কৃষ্ণখাতায় সাক্ষরিত নামের বানানে ভুল ছিলো না,
ভুল ছিলো না স্তুপীকৃত বকেয়ার অংকেও-
অনেক ঘুমের দেনা পড়েছিলো তাঁর।
লালঘুম নীলঘুম চিকন সবুজ ঘুম
কতোশতো নাম আর রঙের বাহারে মোড়া
কলাপাতা চোখে চাওয়া কিশোরী কিশোরী ঘুম
কুয়াশার ঝাঁপ খুলে হঠাৎ বেরিয়ে আসা সতেজ তরুণীঘুম
হুক-খোলা যৌবনা দুধারে প্লাবন-ডাকা সর্ব...
[লেখককে কবিতার ব্যাখ্যা দিতে নেই। আপাত দৃষ্টিতে এটাকে প্রেমের কবিতা মনে হলেও বুদ্ধিমান পাঠক কি ধরতে পারছেন, কবিতাটার বিষয়বস্তু আসলে কী ? নির্দ্বিধায় মন্তব্য করতে পারেন। ]
আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
আমাকে উন্মুক্ত করে
তোমার অবাধ্য তর্জনীটা আলতো করে ছুঁয়ে থাকে
বুকের নিপুলে আমার ! অথচ কী নির্বিকার তুমি
আমার চোখে রাখো চোখ, আর
আশ্চর্য মগ্নতায় চেয়ে থাকো অন্য কারো স্পর্শাতীত চোখে-
মুখের...
‘উঁহু, এটা নয়, ওইটা এখানে !’
‘হাঁ হাঁ, এটা ঐদিকে !’
ছিন্নভিন্ন দেহাংশগুলো সাজাতে সাজাতে
সন্ত্রস্ত ফিসফিসানিগুলো গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে।
পিতার বন্ধুদের সংখ্যা কমতে কমতে সামান্য ক’জনে এসে দাঁড়িয়েছে,
কী আশ্চর্য ! ‘কোলে এসো’ বলে একবারও হাত বাড়ালো না কেউ !
‘কিন্তু এই জায়গাটা খালি যে !’
এমন অদ্ভুত প্রশ্নের নিরুত্তর মর্ম খুঁজে তন্নতন্ন হয় একজোড়া শৈশব আকাশ,
‘আয় বাবা বুকে আয়’ ডাকে যে...
মাছুম শিশুদের দিকে বর্বর মারণ-অস্ত্রগুলো নির্বিচার তাক করার আগে
কী আশ্চর্য, একবারও ভাবলো না ওরা, অভিধান থেকে পশুরাও
মুছে না শৈশব ! বাড়ন্ত শৈশবে পৌঁছার আগে
উষার আলোয় রাঙা জীবনের কাছে নতজানু হয়ে পশুরও বৈধ মাতৃজরায়ু থাকে।
বারুদের গন্ধ ঠাশা অবৈধ ধূলোমেঘে ঢেকে যাওয়া গাজা’র আকাশ
কীভাবে ফিরিয়ে দেবে মানুষের অপসৃত বৈধ পরিচয় !
ভদ্রমহোদয়গণ, জান্তব ট্যাঙ্কের চাপায় থেতলে দেয়ার আগে মান...