“কাল রাতে না খুব বাজে একটা দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।“
বিছানায় চোখ আধবোজা অবস্থায় শুয়েছিল শাহেদ। অফিসে থেকে ফিরেছে কিছুক্ষন আগে। শুনে ড্রেসিং টেবিলের দিকে তাকালো, যেখানে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মীরা চুল আঁচড়াচ্ছে। আজ তার অফিসে বিকেলে ডিউটি পড়েছে, একটু পরে বেরোবে, তারই প্রস্তুতি নিচ্ছে।
“তাই?”
২৮ নং ইন্সব্রুকার ষ্ট্রাসে; বাসার গায়ে ঠিকানা লেখা। হ্যাঁ এটাইতো সেই বাসা । পাহাড়ের চুড়ায় পুরাতন একটি বাসা। ঠিক ভাঙ্গাচোরা বলা যাবেনা; তবে তাতে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। জার্মানীতে বাসা পাওয়া বিশেষ করে এইশিয়ানদের জন্যে খুব কঠিন কাজ। আমি সেই কঠিন কাজটি করেছি এক রকম সহযেই। প্রথম পরিচয়ে বাড়িওয়ালীকে দেখে ভাল লাগল। চামড়া কুচকে যাওয়া সাতাত্তর বছরের বৃদ্ধা মিসেস ভেহ্ এবং আশি বছরের মিষ্টার ভেহ্। এক আলোচনাতে আমর
রাত তিনটা বেজে গেছে, কিন্তু জাকির তখনো পাচ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, চিন্তা করছে গত সন্ধ্যার কথা। অন্যান্য দিনের মত গত কালও সন্ধ্যার পরে সে জগদীশ রোডের কোণায় বাইক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। চিন্তা করছিলো জুলহাসের কাছে বাকি পড়া টাকার কথা। গত কয়েক দিনে ছিনতাই করতে পারে নি সে, কিন্তু নেশা তো আর থেমে থাকেনি। বাকি টাকা দিতে না পারলে জুলহাস আর হেরোইন দিবে না বলে দিয়েছে, কিভাবে কি করা যায় চিন্তার সুতো ছিড়ে গিয়েছিল স
এক বিদেশি দম্পতি জ্যাকি ম্যাটিংলি ও রব ম্যাটিংলি বাংলাদেশে আসেন, থাকেন, কাজ করেন, আবার চলে যান। মোটামুটি এদেশে আসা-যাওয়া, যোগাযোগ আছে তাদের। তারা একবার চলে যাওয়ার সময় আমাকে দুটি বই দিয়ে গেলেন। এর একটি হলো ভূতের গল্পের বই।
পড়তে শুরু করলাম। পড়তে পড়তে মজা পেয়ে গেলাম। ভাবলাম গল্পগুলো বাংলায় লিখে ফেলি। ২০০৫ সালের এপ্রিল-মে মাসে গল্পগুলো লেখা, এ কয় বছর পড়েই ছিল। এ বছর জানুয়ারির শেষ ...
শাহজাহানকে ফেলে রাখা হয়েছে জঙলার ধারে। তার হাত পা শক্ত করে বাঁধা। মুখে কাপড় গুঁজে দেয়া হয়েছে এমন ভাবে যাতে গোঙানী ছাড়া আর কোন আওয়াজ না করতে পারে। গ্রামের কেউ দিনের বেলাতেই এখানে আসেনা সাধারনত। আর এখন তো প্রায় মধ্যরাত।
চারিদিকে কেমন একটা স্তব্ধতা বিরাজ করছে। আকাশে ভাঙা চাঁদ জংলাটাকে আলোকিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বড় বড় গাছের আচ্ছাদনের কারনে তাতে স্থানটা আরো রহস্যময় ও ভৌতিক ...