কাক ডাকা ভোরে যখন বাসা থেকে বের হই অফিসের উদ্দেশে, রাস্তা প্রায় ফাঁকা। সবচেয়ে বেশি যাদের দেখি তারা হোলও কিছু উদ্বিগ্ন বাবা-মা আর তাদের স্কুলগামী বাচ্চা। এই সময় টায় রিকশার বড়ই অভাব থাকে। বাচ্চার কাধেঁর ব্যাগটা দেখলে খুবই কষ্ট লাগে। এখন দেখি অনেক বাসার সামনে এই সময়টায় রিকশা দাঁড়ানো থাকে, কারন
ছেলের স্কুল আটটায়, তাই
সকাল হয় ভোরবেলায়,
ঘুমজড়ানো মুখটা দেখে ভাবি,
একি অমানবিক কাজ, হায়!
স্কুলব্যাগ গোছাতে দেখি,
গুনে গুনে ঠিক পনরটি বই!
লেখার আর আঁকার খাতাও তেরটা,
সামলাতে আমি বেসামাল হই।
কলম, পেন্সিল, প্যাস্টেল কালার,
ইরেযার, শার্পনার, ডায়েরী,
ফেভিস্টিক, কালার পেন্সিল,
সাথে কাগজও লাগে খয়েরী।
ব্যাগভর্তি হাবিজাবি,
ওজনটি তার কম নয়।
ছেলে আমার এত্তটুকুন
সামলাতে হিমশিম খায়।