আমার মা । আমার জীবনের প্রথম আলো । মায়ের হাত ধরেই রবীন্দ্রনাথ এসেছেন আমার জীবনে । শৈশবের “বীরপুরুষ” কবিতার শিশু রবীন্দ্রনাথ ক্রমশঃ বড় হয়েছেন আমার জীবনে । এক সময়ে আমি জেনেছি, মেঘে ঢেকে যাওয়া বিধুর গোধূলি গগনের গান ছাড়িয়ে আমার মা রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শনকে ভালবেসেছিলেন । যে রবীন্দ্রনাথ একলা বাহির হ’ন পরমেশ্বরের অভিসারে ও লজ্জিত হ’ন নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা বিধ্বংসী আত্মগৌরবের, তিনিই লিখেন “অচলায়তন” ।
আমার অচলায়তন!
আমি নাই!
আমার চিহ্ন চোখে পড়ে খুব কম সহ-ব্লগারের, তবু যে ক'জনই আমার অত্যাচার অনর্থাচার এক আধটু সহ্য করেন হজম করেন সদয় চোখে দেখে টেখে চেঁখে চুঁখে, তাদেরও দু'একজন হ'লেও খেয়াল ক'রে থাকবেন যে আমি নাই। যেমন, আর কেউ করুক না করুক, আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগভাই শা.মা. তার ব্লগীয় নিকের দিকে সুবিচার ক'রে জাগ্রত সতর্ক প্রহরায় অব্যর্থভাবে খেয়াল করতে পেরেছেন যে আমি অচল হয়ে গেছি। হ্...