ছোটবেলায় বেলায় মাঝি বলতে একজনকেই চিনতাম। নারাণ মাঝি। ওঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাখিওড়া গ্রামে। আসলে পাখিওড়া আর আমাদের গ্রাম পাশাপাশি। সেকালে কাঁটাতার ছিল না। চোরাচালান ছিল অবাধ। নারাণ মাঝিই চোরাচালানিদের ‘সবে ধন নীলমনি’। তাছাড়া পাশাপাশি গ্রাম, গাঁয়ের বেশিরভাগ মানুষই রিফিউজি, তাই আত্মীয়-স্বজনের বিরাট একটা অংশ রয়ে গেছে ওপারে। ইছামতী সেকালেও খরস্র্রোতা ছিল না। তবে এখনকার চেয়ে অবস্থটা বেশ ভালো ছিল। তাই নায়রী পারাপারেও নারাণ মাঝির ডাক পড়ত।
[অত্র অঞ্চলে প্রবেশের পুর্বে একবার নয়, দুইবার নয়, প্রয়োজন বোধে সহস্রবার ভাবিয়া-চিন্তিয়া, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করিয়া এক সপ্তাহের মধ্যে উক্ত কমিটির ইন্টেলেকচুয়াল রিপোর্ট লইয়া গুরুগম্ভীরতার সহিত মস্তিষ্কের তীব্র চিন্তা-চেতনা মিশাইয়া বিবেচনা করুন। যাঁহারা উত্তম সাহিত্য অন্বেষণে নিজেদের জীবন-যৌবন বন্দক রাখিয়াছেন তাঁহাদের জন্যে এই অঞ্চলটি অতীব ঝুঁকিপূর্ণ বলিয়া ঘ...