বঙ্গবন্ধুকে মেরে ফেলার পরের দিন বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদকরা যেসব সম্পাদকীয় লিখেছিলেন সেগুলো হল বিশ্বাসঘাতকতার এক একটি অনুপম নিদর্শন। বাংলাদেশের সাংবাদিকতার ইতিহাসে এর চেয়ে কলংকিত অধ্যায় মনে হয় নেই। আমি এই লেখায় কয়েকটি সম্পাদকীয় আর তার সম্পাদকদের নামগুলো দিয়ে দিচ্ছি।
যদি কেউ এখনও বেঁচে থাকে আমি মনে করি জাতির সাথে তাদের বোঝাপড়ার এটাই সময়।
দৈনিক ইত্তেফাক
সম্পাদক: নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী
সুলতানা রহমান জানতে চেষ্টা করেন নি, কোন নদীতে, যেখানে জোয়ার ভাটা খেলে, সেখানে তেল পড়লে সেই তেল কীভাবে ছড়ানোর কথা! নদীতে ছড়িয়ে পড়া তেল কোনো নির্বোধ পরিবেশ সাংবাদিকের লাইভ ক্যামেরায় সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য বসে থাকে না। তেল ছড়ানোর তিনদিনের মাথায় বনের সব গাছ মরে গিয়ে প্রমাণ করার কথা নয় তারা মরে যাচ্ছে। তিনটির বদলে তিনলক্ষ লাল কাঁকড়া সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে এসে মরে থাকাটাও তেল ছড়িয়ে পড়ার প্রভাব নয়। পরিবেশ সম্পর্কে কাণ্ডজ্ঞানহীন কোনো নির্বোধের চোখে ধরা দেয়ার মত করে পরিবেশের পরিবর্তন হয় না।
আজ তেসরা নভেম্বর ২০১৪ তারিখে জাতীয় চার নেতার জেলহত্যা বার্ষিকীতে প্রথম আলোর প্রথম ও শেষ পাতার আধেয় বিশ্লেষণ করা হলো। যেখানে দেখা যাচ্ছে- প্রথম আলোর প্রথম পাতায় আটটি সংবাদ ও তিনটি বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছে। শেষের পাতায় সাতটি সংবাদ ও সাতটি বিজ্ঞাপন (প্রথম আলোর নিজেদের বিজ্ঞাপন ৫টি) ছাপা হয়েছে। এই জাতীয় দৈনিকটিকে আমরা দেখি বছরজুড়ে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনীতিতে সৎ, যোগ্য, দক্ষ নেতৃত্বের খোঁজ করতে। রাজনীতির খোলনলচে পালটানোর আহ্বানও শোনা যায় এদের সম্পাদকীয় ভাষ্যে। দেশের সুশাসন ও গণতন্ত্রকামী একটি পত্রিকার জন্য এই আকাঙ্খা খারাপ কিছু নয়। কিন্তু, তাদের সেই আকাঙ্খা মার খায়, যখন দেখি বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা চার জাতীয় সৎ, যোগ্য, দক্ষ নেতৃত্বের নিষ্ঠুর হত্যাবার্ষিকীর দিন পেছনের পৃষ্ঠায় দায়সারা সিঙ্গেল কলাম ট্রিটমেন্ট দেয়া হয়।
প্রথমে ২১ শে এপ্রিল ২০১৩ সালের সকাল ১১ টা ৪০ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে প্রকাশিত বিডিনিউজ২৪.কমের 'ড. তাহের হত্যামামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল' সংবাদটি পড়ে নিন (পিডিএফ কপি)!
উইকিলিকস মূলত এমন একটি সংগঠন যা সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ‘টপ সিক্রেট ডক্যুমেন্ট’ সাধারন মানুষের নজরে আনতে প্রকাশ করে। খুব অল্পসময়েই উইকিলিকস সরকার ও বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ভয়ের কারন হয়ে দাঁড়ায় তাদের বিভিন্ন তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য। ২০০৮ সালে স্যারা পেলিনের ইমেল এবং বিতর্কিত গুয়ান্তানামো বে তে নির্যাতন বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তাদের মধ্যে অন্যতম।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ...
...
‘প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের ব্যাপক মূল্যায়ন’। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ বড় হরফে এই শিরোনামের রিপোর্টটি পড়ে হোঁচট খেলাম প্রথমেই। এরপর অনেকগুলো প্রশ্ন মনে উঁকি দিতে থাকলো। তবে সবার আগে যে প্রশ্নটি এলো তা হলো- সংবাদপত্র কেন ?
সংবাদপত্র কেন ? আদৌ কি আমাদের সংবাদপত্রের প্রয়োজন আছে ? এই যুগে এসে এরকম অদ্ভুত প্রশ্নে যে-কেউ বিস্মিত হতেই ...
সিলেটের ওসমানী নগরের ৭ বছরের কিশোরীর উপর পাশবিক নির্যাতনের পর পুলিশ নির্যাতন কারীদের গ্রেফতার করতে না পেরে নির্যাতিত কিশোরীকে সেফ হোমে আটকে রাখার করুণ কাহিনী শীর্ষক একটি রিপোর্ট প্রচার করেছে চ্যানেল আই। পাঁচ মিনিট দীর্ঘ ঐ রিপোর্টটি করেছেন চ্যানেল আইয়ের সিনিয়র রিপোর্টার তারিকুল ইসলাম মাসুম। রিপোর্টের বিষয় বস্তু নির্বাচন নিয়ে আমার এক শব্দের মন্তব্য হলো সেটি ছিলো অসাধারণ ! ...
প্রথম দিনতো সারা দেশে মিডিয়া প্রভাবিত জনমতই ছিল প্রবল । নির্যাতিতের পক্ষে চিরকালের শোষিত বাঙালির হৃদয় কেঁদে উঠেছিল। আমি নিজেও সংশয়ী মন নিয়ে সেই দলেই ছিলাম। কিন্তু রাত গভীর হতে থাকলে যখন পুরো বিষয়টি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে তখন মিডিয়ার কাছে মাথা বিক্রির জন্য নিজকে অনুতপ্ত মনে হয়। মনে হয়, ঘটনার আকস্মিকতা ও বিহ্বলতায় অতি-আগ্রহী হয়ে মিডিয়ার 'চ্যাংড়া' আর 'ল্যংড়া ' রিপোর্টারদের সব র...