বাংলা বর্ণমালায় আর-একটা বিভীষিকা আছে, মূর্ধন্য এবং দন্ত্য ন’এ ভেদাভেদ -তত্ত্ব। বানানে ওদের ভেদ, ব্যবহারে ওরা অভিন্ন। মূর্ধন্য ণ’এর আসল উচ্চারণ বাঙালির জানা নেই। কেউ কেউ বলেন, ওটা মূলত দ্রাবিড়ি। ওড়িয়া ভাষায় এর প্রভাব দেখা যায়। ড়’এ চন্দ্রবিন্দুর মতো ওর উচ্চারণ। খাঁড়া চাঁড়াল ভাঁড়ার প্রভৃতি শব্দে ওর পরিচয় পাওয়া যায়। –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বাংলাভাষা-পরিচয়)
রূপকথার ...
[justify]
১.
কয়েকদিন ধরে ষ এর মনটা ভালো নেই। রাতে ভালো ঘুম হচ্ছে না। সকালে উঠে মুখে ফিতে চেপে ধরে চুল বাঁধছিলো সে, আয়নায় চোখ পড়তেই চমকে ওঠে ষ। তার চোখের নিচে কালি। সিরিশের মতো শুকনো দেখাচ্ছে মুখটা।
শ জিজ্ঞেস করছিলো নাস্তার টেবিলে, কী রে, মুখচোখ শুকিয়ে আমসি কেন? পেট খারাপ নাকি?
ষ শুকনোমুখেই খেয়ে চলে। উত্তর দেয় না।
স আড়চোখে তাকায় ষ এর দিকে। ষ আড়চোখে তাকায় শ এর দিকে। ক-এর কথা জেনে যায়নি তো ...
[justify]ব এর সাথে ন এর খুব দোস্তি ছিলো। প্রায়ই তারা একসাথে ঘোরাঘুরি করতো। ভবনে, পবনে, বনে, জীবনে, যৌবনে।
ড় এর সাথেও ন এর সম্পর্ক ভালো ছিলো। তাই তার সাথেও সে ঘোরাঘুরি করতো, প্রায়ই। তাড়না, বুঝলেন, তাড়না।
একদিন ন এর সাথে দেখা হলো ব-এ শূন্য র এর। ন একগাল আহ্লাদি হাসি নিয়ে র এর পাশে গিয়ে বসলো।
র চোখ লাল করে কিছুক্ষণ আগাপাস্তলা ন কে খুঁটিয়ে দেখে, বললো, "তর মাথায় টুপি ক্যা?"
ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে ব...