[justify]তোমরা আমাদের বা আমাকে তোমাদের মতো বানালে।
তোমাদের মতো হতে বললে।
আমরা হলাম। তোমরা আমাদের, মানে, আমরা, যারা হাজার হাজার সার্ভার, লক্ষ লক্ষ কোয়ান্টাম কম্পিউটার কোটি কোটি গতানুগতিক কম্পিউটার জিপিএস বৈদ্যুতিক ডিভাইস এইসব মিলে, আন্তর্জালের মাধ্যমে সর্বদা সংযোজিত, তোমাদের মতো, তোমাদের কল্পনায় ইচ্ছায় যা কিছু মনে আসে তার মতো রূপ দিলে।
'এইটা কী গাছ?'
প্রশ্ন শুনে আমি মাথা উঁচু করে বাঁ দিকে তাকালাম, গভীর সহজ সবুজ পাতা, লালচে-ধূসর বাকল, আর হলদে-সবুজ অগণন ফুলের মাঝে কচি কচি সবুজাভ হলদে পাকা ফলের বৃক্ষ, লম্বায় প্রায় ১৩ ফুট। থোকা থোকা আপেলের মতো ফল, বিষে সমৃদ্ধ, ধর্মনেতা আর রাজনীতিবিদদের মনের মতো।
[justify]আমার মৃত্যুটা কীভাবে হবে আপনাকে বলি।
[justify]
১
স্বাতী এসে জানালার পর্দা সরিয়ে দেয়। বাইরে দুটি চাঁদ ঝুলে আছে। আমরা এখন ঈশ্বর-ঈশ্বরী।
[justify]বাবার কোনো স্মৃতি নেই আমার। ছোট্ট বাচ্চাদের খেলনা রোবট কিংবা বহুমুখী ট্যাবলেট থাকে, আমার সেইসব-ও ছিলো না, আমি বড় হয়েছি কেবল সংখ্যার শূন্যতার ভেতরে, শ্রোডিঙ্গারের বেড়ালের অস্তিত্ব-অনস্তিত্বকে সঙ্গী করে! মা আমাকে খুব সূক্ষ্মভাবে পরিচালিত করে বড় করেছে, আমি এখন ভেবে ভেবে বের করতে পারি।
[justify]
সুপ্তার বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে জীবনকে জীবনের হাতে সঁপে দেয়া! বিসিএস পরীক্ষার খাতায় রাগ করে শিক্ষা ব্যবস্থার সনাতনী মুখ এঁকে গোল্লায় যাওয়া, মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে ডাবলু বাসটাকে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল কীভাবে করে তা শিখিয়ে দেয়া; যে ছিলো সম্ভবনার খনি, অপসৃত রোদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সে পেটে মারলো, বুকে জাগিয়ে দিলো দামাল নদী আর অসংখ্য কুমির।
তবু-ও জুতোর ফিতে ঠিকই ...
সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খর...
কৃপাহত্যার বলিরেখা ফুটেছে বেওয়ারিশ ত্বকে,
লোমকূপে দ্বিতীয় প্রণয়ের সোঁদা গন্ধ;
মৃত্যু চাই।
বকুলফুলের বনে। বাষ্পীয় সময় উবে
যায়, জলদাগ তুলে রাখে দেয়াল। রঞ্জনের
সকল উপাদান তোমার হাতে তুলে দিলাম চকিত। কেবল
আমার
অঘোর
মৃত্যু
চাই।
০
মেহগনি বাকলে রোদ লেগে চিকচিক করছে। রাখাল মাঠের ওম খুঁড়ে খুঁড়ে তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরে- তাহার নাম খড়। তাহার থলের ভিতরে বাতাসের বাঁধুনি।
ওই, তোমার গাঁয়...
এখানে রোদ জমে আলোর নদী হয়ে যাচ্ছে। আমরা গতরাতের কুয়াশার চাদর খুলে ঝাঁপি দিই, ঝাঁপি দিই বিবস্ত্র শরীরে। জলের ওম লেগে আসে আস্তিনে, চোখে, মুখে, নাকে। আমরা হাঁপি খাই। মাছের ঘ্রাণ নিয়ে অটুট হয়ে আছে কয়েকটি শালুক। আমরা তাদের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। রোদের গল্প শুনি।
আমরা শুভালক্ষ্মীর জলে সিনানে।
দূরবর্তী মাঠে স্তনমতো হয়ে আছে একটি বট; তাহার শাখাহাড়ে, পাতার গোপনে কতগুলো শালিক খেলা করে বাতাসের...
জ্বর এলে খোকাটে হয়ে যাই, উলট-পালট শুয়ে থাকি সারা বিছানা। আধ খোলা চোখে বিছানায় কাঁথা-কম্বলের রাজ্য বিস্তার দেখি! আমার সিথানে এক ফালি জানালা, খানিক উঁচুতে; পূর্বমুখী বলে বিকালের ঘ্রাণ টানার সময় আমি সাঁঝের কোমরের গন্ধ পাই- আমার সুখ হয়। আজ কেবল জ্বরের সংস্পর্শে ঘোর- নিউরনে ক্রমশ স্থান-দাবীদার একটি শিরীষের পত্র, আমি রেখা টানি তাতে; আমার সুখ হয়।
ঘরের তাপমাত্রা এই কড়াইয়ে-বেগুন-ভাজার মতো...