ছোটবেলায় বেলায় মাঝি বলতে একজনকেই চিনতাম। নারাণ মাঝি। ওঁর বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাঁসখালি থানার পাখিওড়া গ্রামে। আসলে পাখিওড়া আর আমাদের গ্রাম পাশাপাশি। সেকালে কাঁটাতার ছিল না। চোরাচালান ছিল অবাধ। নারাণ মাঝিই চোরাচালানিদের ‘সবে ধন নীলমনি’। তাছাড়া পাশাপাশি গ্রাম, গাঁয়ের বেশিরভাগ মানুষই রিফিউজি, তাই আত্মীয়-স্বজনের বিরাট একটা অংশ রয়ে গেছে ওপারে। ইছামতী সেকালেও খরস্র্রোতা ছিল না। তবে এখনকার চেয়ে অবস্থটা বেশ ভালো ছিল। তাই নায়রী পারাপারেও নারাণ মাঝির ডাক পড়ত।
__দ্বিতীয় পর্ব__
মাগরেবের নামাযের পর পরই সবাই আবার নৌকা বোঝাই হয়ে রওনা দিল। যেতে যেতে মাঝিরা বলল ওরা সব নৌকার ওপর সার্চ লাইট দিয়ে দেখে, তারপর যদি সন্দেহ করে তাহলে ওরা স্পিড বোট নিয়ে চেক করতে আসবে। ওরকম অবস্থার জন্য সবাই যেন রেডি থাকে।
কিছুদুর যেতে যেতে হঠাত নৌকায় তীব্র আলো পড়ল। নৌকার ভিতরে বসে সব ছেলেরা আলো দেখতে পেল। এত আলো দেখে নৌকার...
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সময়কার কাহিনী আব্বু আম্মুর কাছে অনেক শুনেছি। শুনেছি পরিচিত অনেক আন্কেল আন্টিদের কাছে। কত রকমের কাহিনী শুনেছি কিন্তু যুদ্ধের সময় দেশের সাধারন মানুষ যে কত কষ্ট করেছে তা এমন স্মৃতিচারণ, নাটক, সিনেমা আর বই পড়ে শুধুমাত্র আন্দাজ করতে পারি, কল্পনা করতে পারি, যদিও পাকিস্তানি আর্মির নির্মম অত্যাচার আমার কল্পনারও বাইরে। এসব কাহিনী শুনে কিছু কিছু মানুষের ওপর প্রচন্...