আমাদের ডকিন্সখুড়ো একটা মাথাপাগলা লোক, সেটা সবাই জানে। ট্যাঙস ট্যাঙস কথা বলে। ধম্মকম্মের নাম শুনলেই তোপ দিয়ে উড়িয়ে যেতে চায়। এইসব বেয়াক্কেলে কাজের জন্য তার কপালে যে অনন্তকাল রৌরব নরক রয়েছে সে তো বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেসব বাদ্দিয়েও খুড়ো কয়েকটা বড় বড় বদবুদ্ধি প্রচার করে গেছেন। সেলফিশ জিন, এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ এসব বইতে সেসব ফলাও করে লিখেওছেন। সেদিন আমার এক দোস্ত কইল, ‘ভাইরে, খুড়োর ভিডিও দেখি, কড়া কড়া কথা মজাই লাগে, কিন্তু কোনো বই তো পড়ি নাই! Am I missing something?’ তাই ভাবলেম, ডকিন্সখুড়োর প্রধান বৈজ্ঞানিক দুষ্টুবুদ্ধিগুলোর একটা ছোট আলোচনা করা যাক, হাজার হোক খুড়ো তো আসলে একজন জীববিজ্ঞানী!
মহাপ্রতিভাবান এক পাদ্রীর গল্প শুরু করেছিলাম। দেড়শো বছর আগে তিনিই প্রথম মানুষের আর অন্য সব প্রাণির নীতিমালার কথা বলেন। অনেকগুলো ব্যপার ব্যাখ্যা করব বলে এই লেখা শুরু করেছিলাম। বিষয়গুলোর একটা সূচিপত্র দিয়ে নিলে আমারই লিখতে সুবিধা হয়। তাই প্রথমেই সূচিপত্র:
একসময় হঠাৎ করে জিনতত্ত্ব সম্পর্কে পড়ালেখা করতে ইচ্ছে করলো। লেখাটি সে সময়কারই। আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই। ফলে অনেক কিছুই বুঝতে পারি নি। বিভিন্ন বিজ্ঞান সাময়িকী, উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেটের বিভিন্ন সূত্র থেকে জেনে যা বুঝেছি, তাই পড়তে পড়তে লিখে ফেলেছিলাম। ভুল থাকতে পারে। লেখাটির কোনো অংশে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য থাকলে তা জানানোর অনুরোধ করা হলো। কৃতজ্ঞতা স্বীকারসহ সংশোধন করা হবে।
রাজ...