যেকোন দেশের জন্য বিজ্ঞান গবেষণার উৎকর্ষ কেন প্রয়োজন সেটা বোধকরি খুব ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই। দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত উন্নতিতে, নিজস্ব পণ্য উৎপাদনে, দেশের সমস্যা সমাধানে নিজেদেরই অবদান রাখার জন্য, সর্বোপরি সার্বিক উন্নতি সাধন এবং বিশ্বে মর্যাদাবান অবস্থান প্রাপ্তির জন্য উন্নত মানের বিজ্ঞান গবেষণার উৎকর্ষের প্রয়োজন আছে। এই উন্নতি না ঘটিয়ে একটি দেশের সার্বিক
দেশ থেকে বাইরে কাটিয়ে দিলাম দীর্ঘ সাড়ে চার বছর। মাঝে দেশে গেছি বার-দুয়েক। দেশেও উন্নতি হচ্ছে, বড় বড় বিল্ডিং হচ্ছে, চাকরি হচ্ছে রাস্তাঘাট হচ্ছে - দিনে দিনে দিন-বদলের ছোঁয়া দেখা যায়। ধানক্ষেত জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে হাউসিং ডেভেলপমেন্ট জোনের জন্য। কিছু পরিবর্তন আমেরিকাতেও হচ্ছে। মন্দার পরবর্তী রাস্তাঘাট মেরামতের কাজ এখন কমে আসছে, যত মন্দা কাটছে ততই বোঝা যাচ্ছে মন্দার পরবর্তী রিকভারি হয়ত তত চাকরি আনবে না বাজারে। হাউসিং বাবল বার্স্ট করার পরে দাম আবার বাড়া শুরু হয়েছে বটে কিন্তু বাবলের সময়ের দামের কাছাকাছি পর্যায়ে যেতেও এখনও অন্তত বছর পাঁচেক বাকি। তাও তফাৎ চোখে পড়ে। প্রথম বিশ্ব আর তৃতীয় বিশ্ব নামগুলো ঠিক কে কিভাবে দিয়েছিল জানি না, দেশে গেলেই দুই বিশ্বের তফাতের কথা ভালভাবে বোঝা যায়। একটা বছর তিনেকের শিশু দুয়েক দিনেই হয়ত বুঝে যায় পার্থক্যটা।
গত লেখায় প্রবৃদ্ধি, ৭২-এর নিয়ম, ক্যাচিং আপ এই সব বিষয় নিয়ে এক গাদা প্যাঁচাল পারলেও আসল জিনিস নিয়েই তেমন আলাপ করিনি। জিডিপি দিয়ে অর্থনীতির সাইজ মাপে, বুঝলাম, অর্থনীতি বড় না ছোট, তেজী না নিস্তেজ, তাও বোঝা গেল। কিন্তু জিডিপি-র ভেতরে আসলে যায় টা কি? আর সেটা মাপেই বা কিভাবে?
এই বিষয়ে আগের লেখায় একটু হিন্ট ছিলো - তবে তার আগে আমাদের নাখালপাড়ার কাঁচা বাজারের কথা একটু বলবো। হিন্ট-টা ছিল এই যে ...