হাসিখুশি আমুদে জুলিয়ান মা'মুদে
ঝিম মেরে বসে থাকে, বলে— বিষ খামু, দে...
মা’মুদের সখ ছিল হবে নয়া জুলিয়ান
ইশারায় ডেকে কয়- “ছবি-টবি তুলি আন
সিক্রেট কিছু যদি পাস কারো লাইফের
হোক সেটা চ্যাট-লগ, ফোন-টেপ স্কাইপের
ছেপে দেব ঝটপট কোন ভাবাভাবি নেই
এইসবে মাহমুদ ভয় পায়? কাভি নেঈ!”
বাংলাদেশের চলমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই নানা ধরণের শত্রুর মোকাবেলা করে কাজ করছে। দেশে এবং বিদেশে, মিডিয়ায় অথবা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে বিরামহীনভাবে চলছে অপপ্রচারণা, ট্রাইবুনালের ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা, ট্রাইবুনালের কাজকে ব্যাহত করার অপচেষ্টা।
গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১২) লণ্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম'কে ফোন করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। সাংবাদিকের ভাষ্যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে আলোচনার রেকর্ড তা(দে)র কাছে রয়েছে এবং তারা সেটি প্রকাশ করতে চায়। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে চুরি করা কোন তথ্য যেন প্রকাশ করা না হয়, সেটি বিচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একই সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার জন্য কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে ইকোনমিস্ট'কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। ইকোনমিস্টকে নিয়ে এই ঘটনার মাঝেই আমার দেশ পত্রিকা ড. জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি হকের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন খুব অবাক করা কিছু নয়। যে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য নিয়মিত মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই বিচার কার্যে বাধা দিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা না করা হলেই সেটা আশ্চর্যজনক হত।
...
‘প্রশাসনে সংখ্যালঘুদের ব্যাপক মূল্যায়ন’। একটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় বেশ বড় হরফে এই শিরোনামের রিপোর্টটি পড়ে হোঁচট খেলাম প্রথমেই। এরপর অনেকগুলো প্রশ্ন মনে উঁকি দিতে থাকলো। তবে সবার আগে যে প্রশ্নটি এলো তা হলো- সংবাদপত্র কেন ?
সংবাদপত্র কেন ? আদৌ কি আমাদের সংবাদপত্রের প্রয়োজন আছে ? এই যুগে এসে এরকম অদ্ভুত প্রশ্নে যে-কেউ বিস্মিত হতেই ...