হাইকু ভালোবাসি। তিন লাইনের ছোট্ট কবিতাগুলো আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। একটা সময়ে জাপানে ছিলাম; হাইকু আডডা হতো;-মূলতঃ আমার বর্ষীয়ান ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে!
হ্যাভারস্যাক পিঠে ঝুলিয়ে ইয়্যুথ হোষ্টেল থেকে বেরিয়ে পড়েছিলাম। হাতে মাত্র দু'দিন সময়। এরই মধ্যে দেখে ফেলতে হবে আইফেল টাওয়ার, ল্যুভর মিউজিয়াম আর ডিজনী ল্যান্ড। আজ গন্তব্য ডিজনী ল্যান্ডের পথে। মেট্রো ধরেই যেতে হবে। এ সময়টায় মোট্রোতে ভীড় অনেক। তবু এগিয়ে যাই, টিকেট কেটে পাতালের সিঁড়ি বেয়ে নামি। নেমে আসা মানুষের ঢলে ত্রস্ত অধীর মুখগুলো দেখি। প্যারিসের মেট্রো ষ্টেশনে এক রকম আচম্ব ...
[উত্সর্গ (প্রেরণা কিংবা গিট্ঠু, কিংবা নেহাতই সৃষ্টি-অসুখ চুলকানি):
নজরুল ইসলাম'র দশ টাকার ফালতু জীবন আর মূর্তালা রামাত'র সুখ]
১।
'সুখ' ব'লে কি
আছে কিছু এ মর্ত্যে?
কে বা জেনেছি!
২।
সুখ কই হে?
মদ-নারী-মার্কেটে।
ঘরে নাই রে!
৩।
সুখ কৈ বয়?
নদীটার ঐপাড়ে
আছে নিশ্চয়!
৪।
সুখী বলো কে?
যারে ভাবো, সে ভাবে
দুখী নিজেকে!
৫।
সুখী কৈ কে যে!
খুশি যার পাল্টে...
-সাবিহ ওমর-
#১
বৃষ্টিভেজা ভোর।
অযুত হীরের কণা
আমার শার্সিতে।
#২
বৃষ্টি বিরতি।
প্রত্যেক রেলিঙ-এ শুকায়
একটা করে কাক।
#৩
আবারো বৃষ্টি!
কালো মেঘ মুছে দিলো
রংধনু দুপুর।
#৪
কাকভেজা রাজপথ।
গাড়িটার পিছু পিছু
টেল লাইটের ছায়া।
#৫
অন্ধকার আকাশ--
কালো ছাতাটা আমার
শুকাতে দিলাম!
ওমরসাবিহ এট জিমেইল ডট কম
ওমরের ব্লগ
তুলিরেখার কবিতা ও মন্তব্যের ফল এই লেখা, কাজেই গালাগাল ঐ অ্যাকাউন্টে যাবে। ভালো লাগলে আমি রইলাম।
------------------------------------
১
যে ঘর ছেড়ে
এসেছি, সেথা আজ
চেরী ফুটেছে ।
In my old home
which I forsook, the cherries
are in bloom.
- Issa (1762-1826)
হাইকু লেখা জাপানি ভাষায় সোজা হলেও হতে পারে, বাংলায় বেদম কঠিন। নিয়মের নিগড়ে বাঁধা, যে নিয়মগুলো জাপানি ভাষার মতো ...