কেবিনের জানালা দিয়ে পিউলি বাইরে তাকায়। বৃষ্টিভেজা কালচে পিচের রাস্তায় দু চারটে রিকশা যায়। হর্ণ বাজিয়ে চলে যায় একটা সাদা গাড়ি। একপাশে ভ্যান রেখে আইসক্রীমওয়ালা মাথার চুল মোছে। হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাওয়ায় বেচারা ভিজে গেছে একদম। সে কি এখন গায়েই শুকাবে তার ভেজা গেঞ্জিটা? নাকি আর কোথাও শুকনো জামা আছে?
আজ দুলু মামার বিয়ে। আর তাকেই নাকি এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ! এখন বাজে সকাল ৯টা । ১০ টায় বরযাত্রী রওনা হবার কথা। প্রায় ৫০ কিমি দূরে আমাদের হবু মামীবাড়ি। রাস্তার অবস্থা বেশ নাজুক। রাস্তাটা একে তো সরু তার উপর প্রচণ্ড আঁকাবাঁকা।এক একটা বাঁক যেন মরণ-ফাঁদ। তাই একটু আগেভাগে রওনা হবার প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরেই।
অনেক সয়েছে রাতুল।
আজ একটা হেস্তনেস্ত না করলেই নয়।
ছোট বলে কি তার মান-ইজ্জত কিছু নেই নাকি? বিশেষ করে পাশের বাসার রাসেলের সামনেই কথাটা বলতে হবে কেন? এত বড় হয়েছে মা-টা, কিন্তু এইটুকু বুদ্ধি নেই? সেই কখন থেকে সে গাল ফুলিয়ে বসে আছে, একবার বলতেও আসলো না যে রাতুল সোনার মুখটা ভার কেন? এমন তো না যে পরের মা। একেবারে নিজের মা। সে-ও যদি এমন করে তাহলে আর রইল বাকী কী?
গল্প শুনতে চিহ্নর ভাল লাগে খুব।
ছোট ছোট গল্প না, বড় বড় গল্পই ওর বেশি পছন্দের। কিন্তু বড় গল্প কেউ জানে না। আম্মু জানে না, আব্বু জানে না, খালামনি জানে না, মামা জানে না, ভাইয়া জানে না, আপু জানে না, নানা জানে না- নানু জানে কেবল। কিন্তু নানু বলে না।
…
ঘড়িতে সাতটা বাজে। মানে সকাল সাতটা। রুহি জানে, এখনি কলিং-বেলটা বেজে ওঠবে। ছুটে গেলো জানলার পাশে। সারি সারি ফ্ল্যাট বাড়িগুলোর ফাঁক দিয়ে গলিটা খুব একটা দেখা যায় না। তবু যতটুকু চোখ যায় দেখছে সে। কিন্তু কই, দেখা যাচ্ছে না তো কাউকে। আর তর সইছে না তার। আসছে না কেন, কী হলো আজ ?
লেমেল ও জিপা - আইজ্যাক বাসেভিস সিঙ্গার
[justify]গল্পটা আমার মা আমাকে বলেছে। আমি প্রায় হুবহু আপনাদের বলার চেষ্টা করব।
তবিয়াস নামে এক লোক ছিলেন। অবস্থাসম্পন্ন। তার বউ লিয়া। আর ছিল এক মেয়ে। নাম জিপা। ভুদাই একটা মেয়ে। পুরা এলাকায় এরকম মেয়ে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। জিপা বড় হলে ঘটকেরা তার জন্য পাত্রের সন্ধানে নামে। কিন্তু পাত্রেরা তার ভুদাইচরিত দেখে পালায়। জিপা’র অনূঢ়া হয়ে পড়ার আশংক...
সকালটা খুব রোদে ঝকমকে। এরকম সকাল হলে অমিতের ঘুম আপনি ভেঙ্গে যায় আর শুয়ে থাকতেও ইচ্ছা করে না। ইচ্ছে করে ছাদে উঠে বসে থাকতে পুরনো দোলনাটাতে। পুরনো একটা ঝাঁঝরি আছে ছাদে পড়ে, মরচে ধরা। একসময় ছাদে কয়েকটা ফুলের গাছ লাগিয়েছিলেন অমিতের বাবা, তখন ওটাতে করে পানি দেয়া হতো গাছগুলোতে। মধ্যে একবার সবাই মিলে বেড়াতে গিয়েছিলো গ্রামের বাড়িতে, তখন গাছগুলোতে পানি দেয়ার কেউ ছিলো না দেখে মরে গিয়েছি...
[যারা এরই মধ্যে বুড়ো হয়ে গেছেন, এ পোস্ট তাঁদের জন্য নয়।]
টিপলুদের ইস্কুলের শাহরিয়ার স্যার বড় মজার মানুষ। প্রাইমারি ক্লাশে তিনি ইংরেজি পড়ালেও আরো কতো কতো বিষয় নিয়ে যে মজা করেন ! একদিন ক্লাশে ঢুকেই ব্ল্যাকবোর্ডে কয়েক টানে দুটো মানচিত্র এঁকেই বললেন- বলো তো, এ দুটো কোন্ কোন্ দেশের মানচিত্র ?
একযোগে সবাই হৈ হৈ করে ওঠলো- এইটা বাংলাদেশ !
আর ওইটা ?
গোটা ক্লাশ নিশ্চুপ। কেউ বলতে পারছে না। স্...
[কিছু কিছু সচল আছেন যাঁদের বুকের মধ্যে চিরায়ত একটা শিশু মাঝে-মধ্যেই উঁকিঝুকি মারে, সেইসব সচল-শিশুদের জন্য এই পোস্ট।]
বাপীর সাথে বইমেলা থেকে কিনে আনা মজার মজার বইগুলো পড়ে প্রান্তু ঠিকই জেনে গেছে লেখাপড়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খেলাধূলাও করতে হবে নিয়মিত। তাই ইস্কুল ছুটির পরই ইস্কুলভ্যানটা না আসা পর্যন্ত তাড়াহুড়ো করে কটকটে রোদের মধ্যেই অন্য সহপাঠিদের সাথে দৌঁড়ঝা...