Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

জঙ্গল

জাঙ্গল ট্রেকিং- রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রানী অভয়রান্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৫/০৯/২০১৩ - ৩:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাস দুয়েক আগে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রানী অভয়ারন্যে দুই সঙ্গী সহ। অফিসের এক ঘেয়েমি কাজ আর জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকার বাইরে যাবার জন্য প্রানটা ত্রাহি ত্রাহি করছিলো। চট জলদি যাওয়া যায় এমন একটি জায়গা খুজতে গিয়ে হঠাৎ মাথায় এলো এ জায়গাটির কথা। বছর দশেক আগে বেশ ক’বার যেতে হয়েছিলো একাডেমিক প্রয়োজনে, জীব-বৈচিত্রের উপর একটি গবেষনা কাজের জন্য। যারা জাঙ্গল ট্রেকিং আর ওয়াইল্ড লাইফ পছন্দ করেন


কাশিপুরের জঙ্গলে ভাষার লড়াই

আব্দুল গাফফার রনি এর ছবি
লিখেছেন আব্দুল গাফফার রনি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ০৪/০১/২০১৩ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

‘ঘটনাটা কাশিপুরের জঙ্গলের। কাশিপুর চিনলি না! আঃ মরণ। আকাট মুর্খদের নিয়ে হয়েছে যত জ্বালা।’ ভাষা-আন্দোলনের গল্প শোনাতে গিয়ে কাশিপুরের জঙ্গলের গল্প ধরেছেন কানাইলাল পণ্ডিত। সেখানেও নাকি একটা ভাষা আন্দোলন হয়েছিল। কানাইবাবু কাশিপুরের লোক কিনা, তাই গল্পটা তিনি জানেন।
‘শোন রে হতভাগার দল।’ কানাই বাবু তাচ্ছিল্যভরেই গল্পটা শুরু করলেন। ‘কাশিপুর হলো সেই কাশিপুর। কোন কাশিপুর? আরে যেখানে শরৎবাবুর এক মামার বাড়ি সেখানে। কী বললি, শরৎবাবুকেও চিনলি না? আরে অকর্মার ঢেকিরা! শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বুঝলি। এবার ঠিক চিনেছিস তো? ভাগ্যি তোদের, নইলে ঘাড় মটকে দিতাম। ওই কাশিপুর আবার গফুরেরও কাশিপুর। মহেশ গল্প পড়িস নি? কাশিপুরে মহেশ আর আমিনাকে নিয়ে ছিল গফুরের সংসার। ঢাকা থেকে সুন্দরবন কিংবা চিত্রা এক্সপ্রেসে চড়ে সোজা চলে যাও দর্শনা। সেখান থেকে বাসে জীববন্নগর। তারপর রিক্সা-ভ্যানে চড়ে চলে যাও কাশিপুর। বুঝেছিস রে হতচ্ছাড়ার দল?’
কানাইবাবু ছাত্রদের গল্প শোনাতে থাকুন, এই ফাঁকে আমরা ঘুরে আসি কাশিপুরের জঙ্গলে।
কাশিপুর জঙ্গলে রাজা হলো রগচটা বাজপাখিটা। প্রকাণ্ড একটা শেওড়াগাছে তার রাজপ্রাসাদ। আগে অবশ্য এই বনে রাজা-মন্ত্রী বলে কিছুই ছিল না। দুষ্টু বাজপাখিটা ষড়যন্ত্র করে রাজা সেজে বসে আছে। অবশ্য তার পাইক-বরকন্দাজও কম নয়। হাজার খানেক কাল-কেউটে সাপ পুষে রেখেছে চতুর বাজটা। এরা তার পুলিশ বাহিনী। দাঙ্গাবাজ স্বভাবের ফিঙেরদল তার সেনাবাহিনি। এছাড়া এক শিয়াল পণ্ডিতকে উৎকোচ দিয়ে দলবলসহ তাকে পুষে রেখেছে উপদেষ্টা হিসাবে। শিয়ালের দল ছাড়াও আছে একদল বনবিড়াল। কেউটেদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই গুইসাপ কিংবা বেজিদের বনের ধারে ঘেঁষতে দেয় না রাজা বাজপাখি।


জোছনার পালক

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৬/২০১০ - ৬:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ডানা ঝাপ্‌টানোর শব্দটা কানে আসতেই অন্যমনস্ক হয়ে যান মহসিন সাহেব। হাল্কা সবুজ ডানা, ছাই রঙের মাথা আর কালচে লেজ। শেষ কবে সবুজ ঘুঘু দেখেছেন মনে করতে পারলেন না মহসিন সাহেব।
একটা বুড়ো চাপালিশ গাছের মাঝারি ডালে স্থির হয়ে আছে পাখিটা। কেয়ারটেকার মন্টু মিয়ার বিরতিহীন বকবকও ধ্যান ভাঙাতে পারছে না সুন্দর পাখিটার। প্রথম কিছুকক্ষণ শোনার ব্যর্থ চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিয়েছেন অবশেষে। স্মৃতি...


কবিতাকথন ৩: জঙ্গল কয় রকম?

মূলত পাঠক এর ছবি
লিখেছেন মূলত পাঠক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৫/২০০৯ - ৬:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পাহাড় ভালো সমুদ্রও ভালো তবে সবচে' ভালো জঙ্গল। জঙ্গল দুই প্রকারের হয়, গাছের আর মানুষের। আমার দুটোই সমান ভালো লাগে। বেতলার শুকনো গাছপালা আর লক্ষ্ণৌয়ের পুরোনো গলি, এতো একরকম দেখতে যে মাঝে মাঝে রাস্তা গুলিয়ে যায়। গাছের জঙ্গলে গেছি কম, জনঅরণ্যেই জীবন কাটে বেশিরভাগটা, এবং এটা কোনো খেদ নয় স্টেটমেন্টমাত্র। মাঝে মাঝে চিন্তারণ্যে হারানোও খারাপ কথা নয়। অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ খেয়াল হ...