ধানের রসের গল্প পৃথিবীর—পৃথিবীর নরম অঘ্রান
পৃথিবীর শঙ্খমালা নারী সেই—আর তার প্রেমিকের ম্লান
নিঃসঙ্গ মুখের রূপ, বিশুষ্ক তৃণের মতো প্রাণ,
জানিবে না, কোনোদিন জানিবে না; কলরব করে উড়ে যায়
শত স্নিগ্ধ সূর্য ওরা শাশ্বত সূর্যের তীব্রতায়।
— জীবনানন্দ দাশ, সিন্ধুসারস (মহাপৃথিবী)
আজ থেকে ২০ বছর আগেও আমরা জানতাম না যে সূর্য ছাড়া আর কোন তারার গ্রহ রয়েছে। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে তথাকথিত বহির্জাগতিক গ্রহ বা বহির্গ্রহ আবিষ্কৃত হতে শুরু করে। সম্প্রতি কেপলার পৃথিবীর সমান বা তার চেয়ে কিছুটা বড় গ্রহও আবিষ্কার করতে পারছে। আজকের হিসাব অনুযায়ী: আবিষ্কৃত মোট বহির্গ্রহের সংখ্যা ৭২৩। গ্রহ আবিষ্কারের সবচেয়ে কার্যকর এবং তথাপি জনপ্রিয় পদ্ধতি দুটি হচ্ছে অরীয় বেগ (radial vel
সেই ২০০৯ সালের জুলাইয়ে সচলে "আরেকটি পৃথিবী" নামে একটি ধারাবাহিক রচনা শুরু করেছিলাম। আজকে সেটা ঘাঁটতে গিয়ে মনে হল কতদিন পার হয়ে গেছে। যাহোক, দেরি করে হলেও সেই প্রাচীন ধারাবাহিক আবার শুরু করলাম এই লেখার মাধ্যমে। কারণ গতকাল যা ঘটেছে তার পরে সেটি শুরু না করলে অপরাধ হবে। গতকাল নাসা-র এইমস গবেষণা কেন্দ্র পৃথিবীতুল্য আকারের দুটি বহির্গ্রহ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে। বাসযোগ্য না হলেও এই ঘটনায় যথেষ্ট উৎফুল্ল
এটাকে আসলে "আরেকটি পৃথিবী" সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব বলা যায়। তবে প্রথম পর্ব না পড়লেও এটা পড়তে কোন সমস্যা হবে না। অনেক দেরি হয়ে গেছে বিধায় একটা স্বাধীন নাম দিলাম। প্রথম পর্বে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের কাহিনী বলেছিলাম। এতে থাকছে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের পদ্ধতি। সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতিটার কথা লিখব, এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি আছে।
কত বড় হয়ে গেছি। অমাবস্যার রাতে, চিত হয় শুয়ে, আকাশের দিকে মেলে ধরা চোখ দিয়ে দেখা তারাগুলো আমাকে আর বিস্মিত করে না। মাঝেমাঝে তাই খুব আফসোস হয়। আজ থেকে কয়েক সহস্র বছর আগে, যখন খুব ছোট ছিলাম, তখন আকাশ থেকে ধপ করে খসে পড়া একটা আলোকবিন্দু আমাকে বিহ্বল করতো। শতকের পর শতক বিহ্বল হয়ে থাকতাম। আর আজকে আমার বিহ্বলতা ঠাঁই নিয়েছে বুধ গ্রহের কক্ষপথে। নাহ, বুধ গ্রহের ব্যতিক্রমী আচরণ দেখেও তো আর বি...কত বড় হয়ে গেছ