শ্রীমঙ্গল এবং সিলেটে থাকার এবং যাতায়াতের বেশ সুব্যবস্থা ছিল। সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। আমরা শুধু গিয়েছি, থেকেছি আর ঘুরেছি। সেদিক থেকে সুনামগঞ্জ আমাদের ঘোরাঘুরিটা বেশ অ্যাডভেঞ্চারাস হবে বলে ধরে নিয়েছিলাম। ওখানে আগে থেকে কিছুই ঠিক করা ছিল না। কথা ছিল আমরা গিয়ে একটা হোটেলে উঠবো এবং যেভাবে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় সেভাবেই যাবো। বান্ধবী সুচেতার বাবা-মা কিছুদিনই আগেই হাওড় থেক
কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম সুনামগঞ্জ। ইচ্ছে ছিল নিজের কাজটুকু সেরে যাব বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের বাড়ী। সময়ের অভাবে যেতে পারিনি তাঁকে দেখতে। ভেবেছিলাম শীতকালে হাতে সময় নিয়ে আসব। ঘুরে ঘুরে দেখব হাওড়, অতিথি পাখি আর ডিঙ্গি ভাসিয়ে যাব দিরাই এর উজানধল গ্রামে বাউল সম্রাটের বাড়িতে। তার আগেই চলে গেলেন এই মহান সাধক পুরুষ। বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাঁর স্মৃতির প্রতি।
সুনামগঞ্জ জেলার অনে...
চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাই...