সেদিন জ্যাকসন হাইটসে মুক্তধারার নিচে দাড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছিলাম। জায়গাটাকে নিউইয়র্কের বাংগালী হাব বলা হয়। হঠাৎ কানে বাংলা প্যারডি ভেসে এল। এক ছেলে গাড়ির হুডে বসে বন্ধুদের সুর করে বন্ধুদের প্যারডি শোনাচ্ছেঃ
শোন মমিন মুসলমানও
যত পার গাঞ্জা টানো
আখেরাতে সবই পাইবা
গাঞ্জা পাইবা না।।
বেশ কয়েকদিন টানা কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে সব যখন একটু থিতিয়ে আসছে তখনই একটা ঝামেলা পাকিয়ে বসে মফিজ। ব্যাপারটা তেমন কিছু না। ভরপুর গাঁজা খেয়ে, নিজের হাড় পাজড়া বের হওয়া দেহটাকে টানতে টানতে ঘরে ঢুকিয়েই, দরজা খোলা রেখে বৌকে জড়িয়ে ধরেছিলো হাড়সর্বস্য হাত দুটো দিয়ে। এ পর্যন্ত সবই মোটামুটি ঠিক ছিলো। উপোসী কুলসুমেরও যে অনিচ্ছা ছিলো তাও না। কিন্তু আবেগের আতিশয্যে সে যখন হঠাত বলে বসে,
...
ছোটবেলায় (মানে অত ছোটবেলায়ও আবার না) আমার বড় শখ হইছিলো রাস্তাফারিয়ান হয়ে যাবার। চেহারা-সুরতে এমনিতে ইথিওপিয়ানই লাগে, কাজেই হাইলে সেলাসিকে আব্বা ডেকে গন্জিকা সেবন করার পথে বাধা ছিলো না তেমন। (অবশ্য গন্জিকা সেবনের জন্য এরকন কোন অজুহাতের দরকার পড়ে নাই কখনো। )রাগ সঙ্গীত বুঝি না তেমন, রেগে ই শুনতাম। মাতা পিছে পিছে দৌড়াতেন বার্লি নিয়ে, আমি তখন মার্লি শুনতে ব্যস্ত। ...