আমাদের দেশের মানুষজনের মাঝে ভারত ভ্রমণের এক ধরণের হিড়িক দেখা যায় আজকাল। আমিও তাদের দলে ছিলাম। ঘুরেছিও অনেক জায়গায়। বাই রোড যাওয়ার সুযোগ আছে দেখে হয়তো অনেকেই নিকটবর্তী দেশে সুযোগ বুঝে ঘুরে আসেন। তবে এইবার আমার মনে হয় আপনাদের নেপাল যাওয়ার সময় হয়েছে। আসুন নেপাল কেন কিভাবে ও কখন যাবেন সেই বিষয়ে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক।
বাই রোড নেপাল ভ্রমণঃ
(১)
সম্প্রতি পড়া বইগুলোর মধ্যে সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের “ভ্রমণ সমগ্র” বইটা নানা কারণেই ভালো লাগল। প্রথমত, সঞ্জীবের স্নিগ্ধ ও কখনো তীর্যক হাস্যরসাত্মক গদ্যশৈলী এবং দ্বিতীয়ত, সবুজ দ্বীপ আন্দামানের প্রকৃতি, জীবনসংগ্রাম এবং ইতিহাসের সাবলীল বর্ণনা। সংকলনটিতে রয়েছে দুটি গ্রন্থ, ১। আন্দামান। ভারতের শেষ ভূখণ্ড এবং ২। দানব ও দেবতা। আমার কাছে দুটো ভ্রমণকাহিনীই ভালো লেগেছে, তবে দ্বিতীয়টিকে একটু মেদবহুল বলে মনে হয়েছে। আক্ষেপের বিষয় আলোচিত কোন স্থানেই যাবার সুযোগ আমার ঘটেনি। বাংলাদেশের আর দশটা তরুণ পেশাজীবির মতোই আমার অর্থ এবং সময় দুটোরই ভীষণ টানাটানি। ভ্রমণের ক্ষেত্রে অর্থ একমাত্র শর্ত না হলেও অন্যতম তো বটেই। কাজেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য ভ্রমণ কাহিনী পাঠ এবং মানস-ভ্রমণ, বিলকুল বিনে পয়সায়!
০১.
আগের পর্বে আমি জানিয়েছিলাম যে অরূপের কাছে পত্র দেয়া হয়েছে ।
দূ:খের বিষয় সেই পত্রের কোন জবাব আজও এসে পৌঁছেনি । এমতাবস্থায় সফর স্থগিত রাখার কোন উপায় নেই ।
আমি আমার তাগন্ত্রনা মেশিন চালু করলাম । নতুন পাঠকদের মাঝে যারা এই তাগন্ত্রনা মেশিন চেনেন না তাদেরকে বলি , তাগন্ত্রনা শব্দটি আসলে একটা সমাস । "তাগাদার মাধ্যমে যন্ত্রনা= তাগন্ত্রনা " , এ কাজে আমি সিদ্ধহস্ত...