জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দীর্ঘ যাত্রার শুরুটা হয়েছিলো ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে। একদিন স্কুলের ভাঙ্গাচোরা লাইব্রেরি (এক আলমিরা জীর্ণশীর্ণ বই) থেকে পেয়েছিলাম ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’। বইটা দেখে মনে হলো, আরে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাও হয় নাকি, নিয়ে দেখিতো জিনিসটা কেমন!
কও তো মিয়া সমস্যা কই? সিনায় ব্যথা? ঠ্যাঙ্গে গোদ?
কোষ্ঠ কঠিন? জিব্বাতে ঘা? রাইতে হঠাৎ পাকছে পোদ?
বুক ধড়ফড়? বিশাল পাথর? ...জমছে মূত্রথলিতে?
এইচআইভি? হোটেল ছিলা মগবাজারের গলিতে?
সমস্যা নাই? আইছো কেন? সময় অনেক শস্তা, না?
চেহারাখান দেখতে আহো? রূপ কি আমার মস্তানা?
খাড়ায়া থাকো, আইবা পরে আবার তোমায় ডাক দিলে--
আপনে আহেন! কোথায় জখম? বুকে? খতরনাক দিলে?
জখম তো নাই! প্যাডের পীড়া? বিছনা ভিজে ঘুমাইলে?
শ্রদ্ধেয় জাফর স্যার ও ইয়াসমীন ম্যাডাম কে ফেরার অনুরোধ করতে আসিনি। কোন মুখেই সেটা করার যোগ্য আমি নই। আমি আজ দুঃখিত নই, কেবলই লজ্জিত। আমাদের হাতে ফাইল নেই, আমাদের হাতে রাইফেল নেই, আমাদের হাতে আর্জেস গ্রেনেড কিংবা ককটেল নেই। আমাদের কাছে নেই পেপার স্প্রে কিংবা টিয়ার গ্যাস। শ্রদ্ধা মেশানো কিছু অকেজো ভালবাসা ছাড়া দেবার মত কিছুই নেই আমার কাছে। কবি নির্মলেন্দু গুণের কবিতায় পড়েছিলাম “হৃদয়ের মত ভয়ানক এক অস্ত্রের” কথা, সেটুকুই আজ সাথী আপনাদের। আপনি আমাদের চেতনার মেরুদণ্ড স্যার। আমরা আপনার মত আশা করতে চাই। আস্তে আস্তে হলেও মেরুদণ্ড সোজা করতে চাই। ভাল থাকুন স্যার, অনেক অনেক ভাল। এই শুভেচ্ছাটুকু ছাড়া দেবার যে কিছুই নেই এ নিঃস্ব হাতে।
[ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল খুব সহজ সরল ভাষায় এবং সহজবোধ্য করে ছোটদের জন্য “ছোটদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস” লিখেছেন। এই পদ্যটি সেই রচনাটির অনুকরণে রচিত।
তাঁকে সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ এটি পদ্য আকারে প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন।]
এক
এই আমাদের সবুজ বাংলাদেশ
কী অপরূপ, শান্ত-স্নিগ্ধ বেশ!
জানো তোমরা যে দেশ মোদের প্রাণ
নাম ছিল তার পূর্ব পাকিস্তান!
২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের দুই দাবিদারের একজন, কৃতী ব্যবসায়ী ড.
সবই তো বুঝলাম, কিন্তু...
[justify]জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ তর্কবিতর্ক চলছে ফেসবুক আর ব্লগে। দু পক্ষই যুক্তি কিংবা কুযুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থান থেকে বেশ কয়েক ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। আমি এ বিতর্কে হয়ত নতুন কিছু যোগ করতে পারব না, তবে নিজের চিন্তাটুকু সবাইকে জানাতে চাই।
১.
তারেক মাসুদের মৃত্যুর পর সড়ক দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে প্রত্রপত্রিকায় প্রচুর লেখালেখি হয়েছে। টেলিভিশনে প্রচুর কথা বলা হয়েছে। ঘরে বাইরে অফিসে আদালতে বাসে কারে পার্কে ফুটপাতে ফুচকা চায়ের দোকানে, কথা-কথা। প্রচুর শব্দ ব্যবহৃত হয়ে গেছে। যারা দেশসমাজভাবনায় বিভোর, তাঁরা বোধকরি কলম ঘষে কলাম লিখতে গিয়ে সবচেয়ে বেশী সবচেয়ে ভারসম্পন্ন কথাগুলো বলে ফেলেছেন।
এটা বেশ তাৎক্ষণিক তাড়ায় লেখা। একেবারেই গুছানো গাছানো না। কিন্তু ভিতর থেকে কেমন যেন একটা তাড়া, না লিখে আর পারা গেল না। আসলে যত দিন যাচ্ছে, আমি মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখার ভয়ানক ভক্ত হয়ে উঠছি। গত কয়েক মাসে তাঁর অনেক লেখা পড়তে পারলাম অনলাইনে।
আজকে পড়ছি সদ্য অনলাইনে ওঠা "স্কুলের নাম পথচারী"। গতকাল পড়েছি "রাজু ও আগুনালির ভুত"। পড়তে পড়তে একটা অদ্ভুত আনন্দ হয়। কচি নতুন পাতায় রোদ্দুর পড়ে ...