ডিসেম্বরের শুরুতেই হাড় কাঁপনো শীত জেঁকে বসছে। আয়েসি মানুষগুলো দশটার আগে লেপ-কাঁথা ছাড়ে না। কিন্তু নজীর আহমেদ-এর মতো দিন মজুরদের অতবেলা করলে চলে না। সাত সকালে উঠেই মাঠের পথ ধরতে হয় রাতের বাসি পানি-পান্তা খেয়ে। শীত-গ্রীষ্মের সাথে নিত্য যাদের বসবাস, শীত তাদের কাবু করতে পারবে কেন। তাই কার কাছে উপহার পাওয়া ছেঁড়া ট্রাক-স্যুট পরে তিনি বেরিয়ে পড়েন মাঠের উদ্দেশে। কিন্তু মাঠে গিয়ে কাজ শুরু করতে পারলেন না। অতিকায় একটা পাখি পড়ে আছে ক্ষেতে মাঝখানে। নজীর আহমেদ ছুটে গেলেন পাখিটার কাছে। না, মরেনি পাখিটা। জীবন্ত। অসুস্থ্। উড়তে পারছে না। এতবড় পাখি কখনও দেখেননি নজীর। শুধু নজীর কেন, গাঁয়ের কেউ কখনও দেখেছে বলে মনে হয় না। কাজ ফেলে পাখিটাকে নিয়ে বাসায় ফিরলেন নজীর। ডাকলেন ডাক্তার। পশু ডাক্তার নয়। মানুষের ডাক্তার। তাও আবার হাতুড়ে। নাপা-টাপা মিলিয়ে কয়েকটা মানুষের ওষুধ খাইয়ে দিলেন ডাক্তার। দিলেন কয়েকটা ইনজেকশনও। অবাক ব্যাপার তাতেই কিছুটা সুস্থ্ হয়ে উঠল পাখিটা
প্রাইমারী স্কুলে পড়ার সময় পৃথিবীর দুর্গম সব স্থানে দুঃসাহসী অভিযাত্রীদের সাড়া জাগানো ভ্রমণকাহিনী নিয়ে সংকলিত মনমুগ্ধকর এক বই আমাদের পারিবারিক পাঠাগারে স্থান পায়, এতদিন পড়ে সেই চমৎকার বইটির নাম আর খেয়াল নেই, কিন্তু প্রথম অধ্যায়টির নাম মনে হলে এখনো মনের অজান্তেই শিহরণ বোধ করি ‘দুধের মত দেশের খোঁজে’। গ্রীনল্যান্ড আর তার উত্তরে হাজার হাজার মাইল বিস্তৃত দুধ সাদা প্রান্তর নিয়ে মনকাড়া বর্ণনা, আর সেই বিস্তীর্ণ প্রান্তরের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে চির রহস্যে মোড়া, শত শত বছর ধরে অ্যাডভেঞ্চারপিপাসুদের আকর্ষণ ভৌগোলিক উত্তর মেরু। সেই প্রথম সুমেরু, আর্কটিক তুন্দ্রা, সেখানকার প্রাণিজগৎ আর অধিবাসীদের সাথে পরিচয়।
পকোড়ায় কামড় দিয়ে আয়েস করে চায়ে চুমুক দিয়ে জীশান বলছেন, " তখন আমি বছর বাইশ-তেইশের জোয়ান, সবে পাশ করে বেরিয়েছি, সামনে পৃথিবীটা পড়ে আছে যেন এক রহস্যময়ী রাজকুমারী, ধরা দিতে দিতেও দেয় না, জাগনডাঙা ভাঙনডাঙা পার করে জুড়নপুর পার করে কোথায় কোন্ রহস্যময় রাত্রিনগরীর দিকে টেনে নিয়ে যায়, পথের মাঝ থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় কোনো ঈশারা না রেখে। এবারে বার করো খুঁজে কতো খুঁজবে। জানি সে আছে কোথাও সেই রহস্য...
ইদানিং পত্রপত্রিকার পাতা খুললেই এক ধরণের খবর প্রায়ই চোখে পরে, ভ্রাম্যমান আদালতের ভেজাল বিরোধী অভিযান। আর আমার মত অনেকেই হয়ত বেশ উৎসাহ নিয়ে এই খবরগুলো পড়েন এবং অন্য সবার সাথে বেশ মজা করে আলোচনা করেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই ভেজাল বিরোধী অভেযান থেকে আমাদের মত সাধারণ জনগনের কি লাভ হচ্ছে?
বর্তমান সরকার উচ্চাভিলাষী বাজেটের কারণে রাজস্ব আদায়ে বেশ বদ্ধপরিকর। আমারতো মনে হয়, স...
মিউনিখ ইউনিভার্সিটির সামনে ছোট একটি ক্যাফেতে বসে অংকের একটি কঠিন বিষয় নিয়ে কসরতে কারিন আর আমি। তখন গ্রীস্মের শুরু মাত্র। আর দুসপ্তাহ পর আমাদের তিনমাসের ছুটি। সফল সেমিষ্টার শেষের প্রস্তুতি চলছে জোরেসোরে। তার সাথে ছুটির পরিকল্পনা। এসময়টাতে পরের সেমিষ্টারের খরচের জন্যে কাজ আর পাশাপাশি ছুটিতে বেড়ানোর পরিকল্পনাও চলে। একটু পরই সিগারেট ফুকতে ফুকত...