আমি ধর্মগ্রন্থের কিংবা আকাশের ঈশ্বরকে দেখিনি।
তিনি দেখতে কেমন কিংবা আছেন কি নেই তা আমি নিশ্চিতভাবে জানিনা!
তবুও, আমার একজন ঈশ্বর আছেন!
প্রতিটি মুহূর্ত তার উপস্থিতি-তার ভালবাসা আমি আমার সমগ্র অস্তিত্ব দিয়ে অনুভব করি।
আমার শরীরের প্রতিটি রক্তকণা, প্রতিটি অণু-পরমাণু প্রতিটি ন্যানো-পিকো সেকেন্ডে তার প্রতি ষোড়শাঙ্গে শ্রদ্ধা-কৃতজ্ঞতা-ভালবাসা জানায়!
এই লেখাটা বাবার জন্য
আমার সেই বাবা, ছোটবেলায় যার উদাম বুকে শুয়ে আমার ছোট্ট কানের একটা নিখুঁত ছাপ ফেলে দিতাম...
আমার সেই বাবা, যে অকারনে ঘুমের মাঝে এখনো পা দোলায়, কারন তার শিশুকন্যাকে পায়ের উপর শুইয়ে দোলা দিয়ে ঘুম পাড়ানোর অভ্যাস যার এখনো যায়নি...
আমার সেই কিশোরমনা বাবা, যার বয়স আসলে এখনো বারো...
আমার সেই পাগলা বাবা, পড়ার টেবিলে আমাকে দেখলেই যে বলে, "ঘুমা মা, ঘুমা।"
প্লেন থেকে নেমে এয়ার্পোরটের গেট দিয়ে বেরিয়েই দেখি বাবা দাঁড়িয়ে আছেন আমাকে রিসিভ করতে। বাবা, আমার চির পরিচিত বাবা।
বাবাকে আলিঙ্গন করতে গিয়ে থেমে গেলাম একটু। চেহারায় বয়সের ছাপ এসেছে। এ ক’বছরেই বুড়িয়ে গেছেন অনেক। তা হবে নাই বা কেন। সত্তর ছাড়িয়েছেন বেশ ক’বছর হল। মাথার কাশবন আরো ফিকে হয়ে এসেছে, কিন্তু চোখ দুটো আগের মতই প্রাণময়।
-‘তোমাকে বল...