প্রথম পাতায় নিবিড় এর লেখায় সচলচারণ সিরিজটার উল্লেখ দেখে স্মৃতিপুকুরের দুপুরজলে একটা ঢিল পড়লো, ঢিল পড়ায় যে আলোড়ন উঠলো সেই ঢেউয়ের বৃত্তগুলো ছড়িয়ে যেতে লাগলো একের পর এক। গোল হয়ে ছড়িয়ে যেতে থাকা কাঁপনের দিকে চেয়ে চুপ করে চেয়ে রইলাম। পিছিয়ে গিয়ে পুরানো পাতা খুলে সচলচারণ ৮ খুলে বসে রইলাম। সত্যি তো, আরো তো লেখার কথা ছিলো! আরো অনেক অনেক। ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪..... কত পর্যন্ত লেখার কথা ছিলো? আহ, স...
আজকের লেখাটা লিখতে গিয়েও বহুৎ চিন্তায় পড়েছি। ভাবছি বলবো কি বলবো না? বললে ভয়ে বলি কি নির্ভয়ে বলি?( আগে জানতাম প্রভুর সামনে এরকম কইলে প্রভু অভয় দেন, সেরকমই নাকি দস্তুর। এরকম দেখেছি পুরানো রাজতন্ত্রের সময়কার ঘটনা নিয়ে তৈরী নাটক ইত্যাদিতে। কিন্তু কিছুদিন আগেই এক বাংলা নাটকে দেখলাম ভিলেন তার সাগরেদকে কইছে,"আরে ভয়ে বল্ হতভাগা, আমার সামনে নির্ভয়ে বলবি কিরে? তোর এত আস্পর্ধা!!!!" )
প্র...
আজকের লেখাটা লিখতে গিয়ে বারে বারে ঠেকে ঠেকে যাচ্ছে, সেলাই করতে বসে সুতা জড়িয়েমড়িয়ে গেলে যেমন হয়, তেমনি। বারে বারে থেমে পাকিয়ে যাওয়া সুতা খুলতে হচ্ছে। বারে বারে থেমে থেমে ভাবতে হচ্ছে, মুছে দিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে যা বলতে চাই তা ঠিক করে বলা হচ্ছে না। সেই হিসাবে হয়তো ব্লগরব্লগর বলাও ঠিক হচ্ছে না।
আজকের কথাটা কইতে চেষ্টা করছি অনেকদিন থেকে, কিন্তু বলি বলি করে বলা হয় না। মানুষের সব সাধ্...
সচলায়তনে যে জন্য প্রথম আসা তা হলো অণুগল্প সংকলন। পড়তে চমৎকার লাগছিল স্ফুলিংগের মতন গল্পগুলো। বিন্দুতে সিন্ধু। একটিমাত্র অশ্রুর ফোঁটায় যেমন ধরা থাকে অনেক না-বলা কথা,আলো পড়লে যেমন জ্বলজ্বল করে ওঠে অন্তহীন কাহিনির মুক্তাদানা -তেমনই এই সব অণুগল্পগুলো। যতটুকু বলা থাকে তার চেয়ে অনেক বেশী থাকে ভাবনার পরিসর।
কদিন আগে মাহবুব লীলেন তার একটি প্রকাশিত অণুগল্প আবার দিলেন দেখে সব মনে ...
একদিন আকস্মিকভাবে নীরব পাঠক পর্যায় থেকে লেখালিখিতে উন্নতি ঘটলো আমার। অনিকেতের পোস্টে অতিথি হিসাবে কমেন্ট করতে গিয়ে(একটু টাইম-জাম্প করছি এখানে। অনেকের কথা বলার আছে, অসাধারণ সব লেখক পেয়েছি সচলে, নীরব পাঠক পর্যায়েই পেয়েছি তাদের। প্রত্যেকের কথা বহু পাতা ধরে লিখলেও শেষ হবার নয়। এত বর্ণময়, এত ধারালো মোচড়ওয়ালা, এত তীক্ষ্ন, এত গভীর, এত সুনিপুণ, এত তথ্যব হুল, এত ভাবনাজাগানিয়া--- এ যেন এক ম...
দিনের পরে দিন গেল।এই করে করে গেল অনেকদিন। তখনও আমি নীরব পাঠক। কিছুতেই লিখে উঠতে পারি না। নানারকম নিয়মকানুন নাকি আছে, ভয়ে সেই নিয়মাবলী কখনো উলটে দেখিনা। নিয়ম শুনলেই কেন জানি আমার মুসা(মোজেস)র গল্প মনে পড়ে, সেই টেন কমান্ডমেন্ট এর গল্প--বড় বড় দুই পাথরের পাটা দুই বগলে নিয়ে পাহাড় থেকে নামছে খুব রাগী চেহারার এক বুড়ো। নিয়ম না মানলেই সব্বনাশ! আরো রাগী কে নাকি আছে আরো উপরে, যে নিয়মগুলো দিয়ে...
সচলে তখন নিয়মিত নীরবে আসি যাই। সকালে বিকালে সচলে ঢুকি। এ এক অন্য জগতের স্বাদ। এত এত নতুন লেখা আসে যে কখনো কখনো তাল রাখতে পারি না। হাসির লেখাগুলো পড়ে প্রাণ খুলে হাসি, গভীর লেখাগুলো পড়ে চুপ করে বসে বসে ভাবি।
হিমুর সেই সবকিছু দুই কেজি (মাংস দুই কেজি, গরমমশলা দুই কেজি, তেল দুই কেজি, লংকা দুই কেজি....কে আর নানা ওজনের ঝামেলায় যায়, মনে রাখা খুব হ্যাপার ব্যাপার ) করে কেনার রেসিপি পড়ে হাসতে হ...
প্রথম এসে অনেক কিছুই নতুন রকম ঠেকে। ছোটো ছোটো লাইন-লেখকের কমেন্টের নিচে নিচে-নাকি সিগ্নেচার লাইন। দেখে চমৎকৃত হই। কী অপূর্ব আইডিয়া! কোণায় কোণায় ছবি-কোনোটা মজার ছবি, কোনো কোনোটা সত্যি ফোটো, কিন্তু চেনার মধ্যে অচেনা । কারুর শুধু কপাল,নাক আর কপালের টিপটুক দেখা যায়, কারুর মুখ হাওয়াওড়া চুলে ঢাকা, কারুর আবার জানালার পাশে সিলুয়েট ছবি, মুখচোখ কিছু বোঝা যায় না কিন্তু বোঝা যায় অনুভবে। "কি...
কত কী সম্ভব-অসম্ভব কান্ড ই না ঘটে যায় আমাদের এই আশ্চর্য দুনিয়ায় ! চেনা ছিলো না জানা ছিলো না কোনোদিন দেখা হবে এমন কথা ছিলো না, হঠাৎ করে তেমন মানুষের সংগে দেখা হয়ে যায়,চেনা হয়ে যায়, এমন হয় যেন যুগযুগান্তর ধরে একসাথে চলছি। মানুষজীবন কম আশ্চর্য না।
নেটে ঘোরাঘুরি করি অনেকদিন, পুরানো পাপীই বলা যায়। খুঁজে খুঁজে বাংলা সাইটে যাই, সাইটে ফোরাম ধরনের কিছু থাকলে দুচারটে বকবক করে আসি, বাংলাহী...