হঠাৎ ঝড়ে জাহাজ ভোলে দিক
আকাশ মোছে তারার হাতের ছাপ
সাগর ফোঁসে গোখরো সাপের ছাও
ঢেউয়ের মেয়ে খলখলিয়ে হাসে
নাবিক তুমি একলা কোথায় যাও?
গাঢ় সন্ধ্যার শেষ ট্রেনের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আবার হাঁটছো উল্টো পথে
শেষ বগির আলো দূরে সরে যাবার আগে দীর্ঘ করে দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে তোমার ছায়া
শুনতে পাচ্ছি বালিশে কান পেতে তোমার আষাঢ়সঙ্কেতী গুড়গুড় বিড়বিড়ে খিস্তির খুতবা
দেখতে পাচ্ছি মানসচোখে, ছুটছো পাঁজরের স্কুইরেল কেইজে দিনভর
আবার হাঁটছো প্ল্যাটফর্মের ধূলো, কাগজ আর বাদামের খোসার সাভানায়, ফেলছো ভদ্রলোকী থুতু
দাঁতে ...
ঝোলপাতিয়ায় কোন দুঃখ নেই, আছে শুধু হর্ষের রাজধানী। সেখানে ঋতুরা থাকে ছয় বোন, পাশাপাশি বাড়ি। সেখানে শরতে মেঘ বর্ষার মেঘের চেয়ে ফর্সা বলে হেমন্তে কোন মেঘ নেই। ঝোলপাতিয়ার শীতে সকালে নরম রোদে বসে লোকে ভাঁপা পিঠা খায়, বাচ্চাদের তালমিছরি কিনে দেয় তাদের বাবারা। ঝোলপাতিয়ায় সব দুপুর রোদের সাথে কথা বলে পুকুরে চালতাখসা শব্দের সঙ্কেতে। ঝোলপাতিয়ার সব মিষ্টি মেয়ে শাড়ি পড়ে, তাদের শায়ার রেখা ...
খা খা রোদ, আর লাশখোর যত পাখি
খা খা বলে তারা করে আরো ডাকাডাকি
এতো যন্ত্রণা, উপশম হবে নাকি?
বোকা যীশু কাঁদে, ক্রুশে গাঁথা, চোখে পানি
"এলি, এলি, এলি ... লা মা শবক্তানি?"
কোন ঈশ্বর বাহুতে ললাট রেখে
যায় কি সে বোকা যীশুকে নীরবে দেখে?
নাকি ঈশ্বর মিছে সব কিছু থেকে?
যীশু কাৎরায়, কাঁপে সাথে ক্রুশখানি,
"এলি, এলি, এলি ... লা মা শবক্তানি?"
সাথে ক্রুশে গাঁথা দু'টি তস্করও কাঁদে
হয়তো যীশুরই যন্ত্রণা অবসাদে
...