আফ্রিকা ছেড়েছি বেশ কমাস হল। কাজের ফাঁকে আর নানা ব্যস্ততার মাঝে প্রকৃতি আর মানুষের গড়ে তোলা নানা মুহূর্তরাই ধরা দিয়েছে ফেলে আসা দিন গুলোতে। অনেক কিছু আজও রয়েছে এই মনের ফ্রেমে বন্দী আর যা পেরেছি তার ছিটেফোঁটা ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি ক্যামেরার ফ্রেমে।
সর্পিল পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে গাড়ী ছুটে চলেছে আফ্রিকা মহাদেশের সর্ব দক্ষিণের প্রান্তবিন্দু কেপ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে, কেপ পয়েন্ট থেকেই নাকি আটলান্টিক মহাসাগর আর ভারত মহাসাগরের মিলন স্থল দেখা যাবে, দুই বিপুল জলরাশির মিলনস্থলে চলছে প্রতিনিয়ত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, দুই স্রোতের জলের রঙটাও আলাদা, যেমন আলাদা লাগে পদ্মা- মেঘনার মিলনস্থলে, এখানে শুধু আরও অনেক ব্যপক আকারে।
নিকষ কালো আদিম গুহা, পরতে পরতে রহস্য, ইতিহাসের সুলুক সন্ধান, কোন পাথরের স্তরের নিচে কি আছে জানার কোন উপায় নেই, সাঁঝের আঁধারে ডানা মেলে গুহার আশ্রয় থেকে বাহির হয় বাদুড়ের ঝাক, প্রবেশের বিশালাকার মূল প্রবেশ পথটি দেখলে মনে হয় ডাইনোসরদের আস্তানা। হয়ত হবেও বা ! গুহাটি যে ২০ মিলিয়ন বছরের পুরনো!
খানিক আগেই এবড়ো-থেবড়ো লাল ধুলোর রাস্তা ছেড়ে মসৃণ কালো পীচ ঢালা পথে উঠেছি, প্রচণ্ড রৌদ্রে সহযাত্রীরা সবাই অস্থির হয়ে উঠলেও ভাল রাস্তার কারণে বাহনের গতি খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় সবাই খুশী, এমন সময় বলা নেই- কওয়া নেই বেমাক্কা ধা করে এক সজোর ব্রেক চেপে দাড়িয়ে পড়ল আমাদের চার চাকার গাড়ী! ঘটনা কি ?
১।
একটু আগে এমন এক বৃষ্টি হয়ে গেল যে আমার ঘরের চালে ক'টা টুপটাপ শব্দ হল একটু খাটলে বলে দেয়া যেত। অথচ মেঘ ক'রে এসেছিল ভালোই। ভাবখানা, আবিদজান ভাসিয়ে না নিতে পারলে মেঘদল তার নাম পালটে শিরোনামহীন করে ফেলবে। অথচ কিসের কী, একটু পরই সেই চিরচেনা সূর্য একই প্রতাপে দেখা দিল। আফ্রিকার আকাশ, মেঘ আর সূর্যের সাথে বাংলা মায়ের ও তিনখানার কোন পার্থক্য খুঁজে পাইনি, শুধু সূর্যটা হালকা একটুখানি বেয়...