শূন্য প্রাসাদে সাইকি এদিকে চায় ওদিকে চায়, যতদূর চোখ যায় চেয়ে চেয়ে দ্যাখে। না, নেই নেই কিউপিড নেই কোনোখানে। সে আসবে না। মনকে শক্ত করে সাইকিও বেরিয়ে পড়ে প্রাসাদ ছেড়ে। বাকী জীবনটা সে হারানো স্বামীকেই খুঁজবে। তাছাড়া তার জীবনের আর প্রয়োজন কী?
এরপরে সাইকির দিন কাটে ঐ আলিশন প্রাসাদে আর বাগানে ঘুরে ঘুরে, তার যখন যা দরকার হয় সবই সে পেয়ে যায়, শুধু কোনো মানুষের দেখা পায় না।
রাত্রে নৈশাহার সেরে শয্যাগৃহে গিয়ে দুরুদুরু অপেক্ষা শুরু হয়, একসময় আসে তার আঁধার রাতের রাজা। ওর মুখ দেখা যায় না, অন্ধকারে ঢাকা। সাইকি ভাবে, এ কি সত্যিই মহানাগ নাকি মানুষ? এত ভালো, এত বন্ধুত্বপূর্ণ এঁর ব্যবহার, অথচ কেন ওঁকে দেখতে দেয় না?
এক রাজার ঘরে ছিল তিনটি সুন্দরী কন্যা। তাদের মধ্যে বড়টি মেজোটি সুন্দরী আর গুণশীলা বটে কিন্তু ছোটোটি রূপেগুণে একেবারে অতুলনীয়া। সেই ছোটো রাজকন্যার নাম ছিল সাইকি।
কুরেন্ত আর ক্রানিয়াৎস ঘুরে ঘুরে দেখছিল মহাপ্লাবনের (এইখানে প্রথম অংশ) পরের দুনিয়াটাকে। ডাঙা জেগে উঠেছে বটে কিন্তু কোনোখানে কেউ নেই। প্রাণশূন্য এক বিবর্ণ দুনিয়া। কেজানে কতদিন লাগবে আস্তে আস্তে গাছপালা পশুপাখিতে দুনিয়া ভরে যেতে। মানুষ জাতির মধ্যে আছে কেবল ক্রানিয়াৎস। সে এই বদলে যাওয়া দুনিয়া দেখে কেমন হতভম্ব হয়ে গেছে, মুখে কথা নেই। হাজার হোক, মানুষ ত
সে অনেকদিন আগের কথা, সেই সময় মানুষ পৃথিবীতে খুব আনন্দে থাকতো, পরম সুখে জীবনযাপন করতো। সে এক চমৎকার অবস্থা। কারুর কোনো কাজ করতে হতো না, যার যা দরকার সব হাতের কাছে এসে হাজির হতো। একথালা পোলাও চাই, এসে গেল ফার্স্ট ক্লাস পোলাও। এক প্লেট বিরিয়ানি চাই, এসে গেল দারুণ চমৎকার বেহেশতী বিরিয়ানি। এক বাটি পায়েস চাই, এসে গেল মনোরম স্বর্গীয় স্বাদের পায়েস। মখমলের তাকিয়া চাই, এসে গেল তাকিয়া। হীরার দুল চাই, এসে গেল
এক গ্রামে টুইন্না কইয়া এক পোলা আছিলো। বড্ড দুরন্ত আছিলো টুইন্না, সারাদিন দুষ্টামি করতো। কখনো এর গাছের আম পাড়ে, কখনো তার গাছের লিচু খায়। সবসময় একটা না একটা কিছুতে তার দুষ্টামি আছেই। টুইন্নার জ্বালায় তার বাপ মাও অতিষ্ঠ। পড়াশুনায় মন নাই। পাঠশালায় গেল কি গেল না, সারাদিন হয়তো দেখা যাইবো খেলার মাঠে, নয়তো কারো বাড়ি গিয়া ফলমূল চুরি, এই-ই চলে। লোকজন আগে বাপ মারে নালিশ করতো, এখন নিজেরাই লাঠি নিয়া দৌড়ায়।
কোন এক গ্রামে এক বুড়ি আর তার মাইয়া থাকতো। বুড়ির চাল-চুলাই সম্বল। বুড়া মারা গেছিল সে অনেকদিন আগে। রাইখা গেছিল একটা ছাগল। গ্রামের এক কোনায় বুড়ির বাসা। বাসার থিকা একটু হাঁটলেই বন। বুড়ির মাইয়া ঐ বনে ছাগল চড়াইতো, পথের ধারের শাক-লতা-পাতা, গাছের ফল কুড়াইতো, লাকড়ি টুকাইতো। সেই শাক লতাপাতা খাইয়া আর বাড়ি বাড়ি লাকড়ির যোগান দিয়া কোনমতে তাগো দিন কাটতো। বুড়ির মাইয়ার নাম আছিলো দুলি।
এক ছিল কাঠুরিয়া, সে ঝোপজঙ্গল থেকে জ্বালানি কাঠকুটো কেটে বাজারে বিক্রি করে সেই টাকায় দিনাতিপাত করতো। খুবই গরীব ছিলো সে, কষ্টে দিন চলতো।
জাপানের এই উপকথাটা খুব আশ্চর্যরকমের সুন্দর। অনেকে বলে থাকেন আধুনিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের আদিরূপ এই উপকথাতেই প্রথম পাওয়া যায়। অনেকে আরো বলেন, উপন্যাস ইত্যাদির বীজও লুকানো ছিলো এই উপকথায়। এই উপকথাটির জন্য সচল ষষ্ঠ পান্ডবের কাছে ঋণী এই পুনর্কথক।
মুভাম্বা আর লুয়েম্বা ছিলো দুই যমজ ভাই, একদম একরকম দেখতে। একসাথে খেলাধূলা আর শিক্ষাদীক্ষা করে বড় হচ্ছিলো তারা। দুইজনে একরকম দেখতে হলে কী হয়, দুইজনের ভাগ্যচক্র ছিলো আলাদা। জন্মের পরে নামকরণের সময় তাদের ভাগ্যচক্র গণনা করেছিলো যে গুণিন, সে তাদের দুই ভাইয়ের গলায় পরিয়ে দিলো দুইরকম দুইখান লকেট, তার ভিতরে রইলো যার যার ভাগ্যচিহ্ন।