ট্রয় নগরীর এক বীর যোদ্ধা ছিল ঈনীয়াস। তার মা স্বয়ং দেবী ভেনাস আর বাবা অঞ্চিসেস। অঞ্চিসেস ট্রয়ের রাজা প্রায়ামের জ্ঞাতিভাই হলেও সামান্য মেষপালকের জীবন কাটাতেন। এদিকে দেবীমহাশয়া ছেলেকে খুব ছোটোবেলাতেই ছেলের বাপের কাছে রেখে চলে যান, নিশ্চয় নানা দৈব কার্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, মাঝে মাঝে বোধ হয় ছেলেকে দেখে টেখে যেতেন।
নাগরাজ থাকতো এক বিরাট জলাশয়ে, গভীর সেই জলাশয়ের নিচে পাথুরে গুহায় সে থাকতো, তাকে দিনের বেলা দেখা যেতো না। কিন্তু রাতে সে উঠে এসে চারিপাশের গ্রামের গরু ছাগল ইত্যাদি তো ধরে নিয়ে যেতোই, মানুষের শিশুদেরও ধরে নিয়ে যেতো। আক্রমণের সময় তার ভয়াবহ চেহারা দেখে লোকে আতঙ্কে নীল হয়ে যেতো, বাধা দেওয়া তো দূরস্থান। সে দিনে দিনে সব লোকের কাছে হয়ে উঠলো মূর্তিমান বিভীষিকা, তার ধ্বংসতান্ডবে হাহাকার পড়ে গেলো গ্রামে গ্র
আগের পর্ব এখানে
কয়েকদিন পরেই শুরু হয়ে যায় সাজো সাজো রব। বরণ ও তার বন্ধুদের নির্দেশমতন নৌ-কারিগরেরা তৈরী করতে থাকেন মস্ত মস্ত তিনটি নৌকা।
এক ছিলো সাগরঘেরা দেশ, উত্তর দক্ষিণ পূর্ব পশ্চিম যেদিকেই যে যাক না কেন পথ শেষ হয় নীল সমুদ্রের তীরে। দেশটা একটা বিরাট দ্বীপ।
সেই দেশে এক ছেলে ছিলো, লোকে তাকে ডাকতো বরণ বলে, তার বাবামা প্রয়াত, ভাইবোনেরাও সব নিজের নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। নিজের বাসায় একাই থাকতো বরণ, কাজকর্ম করতো সারাদিন, বিকাল থেকে সন্ধ্যে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আড্ডা দিতো, তারপরে পানভোজনশালা থেকে খেয়ে দেয়ে বাড়ী ফিরে ঘুমাতো।
আগের পর্ব এখানে
গিহনকে নিয়ে সে ঝুড়ি নদীতে ভাসতে ভাসতে চললো, চললো আর চললো। তারপরে দিনের শেষে সন্ধ্যাবেলার রাঙা আকাশের নিচে সে ঝুড়ি এসে ঠেকলো পাড়ে।
এক দেশে ছিলো এক যাদুকরী। সে নানা যাদু তো জানতোই, আর জানতো নানা বনৌষধির গুণাগুণ। সেই সব বুনো লতাপাতা থেকে সে নানারকম ওষুধবিষুধ তৈরী করতে পারতো।
এই উপকথা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের। আশ্চর্যভাবে আমাদের দেশের উপকথার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। বাঙালী নামধাম দিয়ে গল্পটা বলতে চেষ্টা করলাম। আজকে দ্বিতীয়ার্ধ।আগের অংশ এখানে
২। তারপরে দিন যায় দিনের নিয়মে। রাখাল আর মেঘবতীর জীবন চলে আগের মতনই। এখন ইঁদুর আর কাঠঠোকরা তাদের কাছেই থাকে, ব্যর্থমনোরথ গুপ্তচরেরা বিদায় নিয়েছে।
এই উপকথা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের। আশ্চর্যভাবে আমাদের দেশের উপকথার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। বাঙালী নামধাম দিয়ে গল্পটা বলতে চেষ্টা করলাম। আজকে প্রথমার্ধ।
এই উপকথা সুমেরীয়। সুপ্রাচীন সেই সভ্যতা। এ গল্পেও সেই অতি প্রাচীন কালের এক কাহিনি আছে, মানুষদের প্রথম নায়কের কথা আর নেপথ্যে এক মানবদরদী দেবতা আড়াল থেকে যিনি কলকাঠি নাড়েন।
সেফালাস ছিলো পবনদেব ইয়োলাসের পৌত্র। পিতামহের মতই দিলদরিয়া ছিলো সে। আর উপরি হিসাবে সে ছিলো খুবই শিকারপ্রিয়। ভোররাতেই সে বনে বনে হরিণ শিকার করতে বেরোতো। আর পুব আকাশ থেকে ঊষাদেবী ইওস তাকে দেখতেন। আহা, কে এমন চমৎকার ছেলেটা? খবরও নিলেন, এ ছেলে পবনদেবের নাতি। জেনে দেবী আরো পুলকিত হলেন আর রোজই তাকে দেখতে লাগলেন আরো ভালো করে। দেখতে দেখতে একদিন দেবীমহাশয়া পড়ে গেলেন প্রেমে।