এই গল্পে নামধামের ব্যাপারে আর কিছু কিছু ঘটনা ইত্যাদির ব্যাপারে বাঙালী নাম আর সংস্কৃতিকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে গল্পটার অনেকটাই রূপবদল ঘটে গেছে।
বহু বহুকাল আগে,এক দেশে এক রাজা ছিল। তার ছিল বিরাট ঝলমলে রাজপ্রাসাদ, হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া। বিরাট সৈন্যবাহিনী। দেশ জুড়ে ছড়ানো অজস্র সম্পদ। রাজার রাজত্বে প্রজারা খুবই সুখে ছিল। তারা দু'বেলা রাজার গুনগান করতো।
রাজার ছিল ত ...
এই গল্পটির আখ্যানভাগ নেটিভ আমেরিকান কারোক উপজাতির উপকথা থেকে সংগৃহীত।
সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখন আগুন শুধু আগুন-মানুষদের কাছে ছিলো। তারা কাউকে তা দিতো না, খুব সাবধানে পাহারা দিয়ে রাখতো। মাঠে জঙ্গলে কত পশুপাখি, গ্রামে কত মানুষ-তারা কেউ আগুন পায় না। বসন্তে গ্রীষ্মে সুখের দিন, কোনো কষ্ট হয় না। কিন্তু শীতের দিনে ভারী কষ্ট। বুড়ো আর কচিরা অনেকে শীতে কষ্ট পেয়ে মারা যায়।
এমন ত ...
এটা অ্যাজটেক উপকথা। মহান সর্পদেবতা কেট্জালকোয়াটল এর গল্প।
কেট্জালকোয়াটল ছিলো দেবতাদের নগরীর সর্বজনশ্রদ্ধেয় রাজা। বিশুদ্ধ, নিষ্পাপ ও পরম উত্তম। জাগতিক কামনাবাসনা তাকে তখনো স্পর্শ করতে পারে নি। কোনো কাজই তাঁর কাছে হীন কাজ ছিলো না, সে রাজা হয়েও অনায়াসে পথঘাট ঝাঁট দিতো মস্ত এক ঝাড়ু নিয়ে, যাতে বৃষ্টিদেবতারা তারপরে এসে ভালোভাবে বৃষ্টি দিতে পারেন।
কেট্জালকোয়াটল এর এক কু ...
আফ্রিকার আরেক উপকথা, এটা পূর্ব কেপ দেশের গল্প। আশেপাশের অন্যান্য নানা দেশে নানা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই গল্পের নানা রূপ পাওয়া গেছে। গ্রীক উপকথার কিছু কিছু গল্পের মধ্যে এই গল্পের প্রতিধ্বনি শুনে চমকে উঠতে হয়।
গল্পে চলে যাই এবারে। সে অনেক অনেকদিন আগের কথা। তখন নদীতীরের এক গ্রামে এক মানুষ থাকতো যার ছিলো অনেক জমিজমা গরুভেড়া। বাড়ীঘর ধনদৌলত কোনোকিছুর তার অভাব নেই, কিন্তু তার আপন বল ...
এই গল্প ও আফ্রিকার, কেনিয়াতে প্রচলিত উপকথা।
এক সিংহ, নাম তার সিম্বা, সে একা একা থাকতো তার গুহায়। সতেজ সবল শক্তিশালী তরুণ সিংহ, দুনিয়ার কোনোকিছুকে সে পরোয়া করতো না। খিদে পেলে বের হয়ে অনায়াসে শিকার ধরে খেতো, খিদে মিটে গেলে বাকী খাবার ফেলে রেখে যেতো হায়েনা নেকড়ে শিয়াল এদের জন্য। সিম্বার প্রসাদলাভের জন্য চাটুকারের মতন আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতো এইসব হায়েনা নেকড়েরা, গদগদ ...
সন্ধ্যা হতে না হতেই বাতি গেল। এ প্রায় নিত্যকার কান্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে। লন্ঠন জ্বেলে বসতেই জীজার আবদার-উপকথা বলো, উপকথা বলো।
আরে, এত এত উপকথা আমি পাই কই? সারা দুনিয়া জুড়ে কত উপকথা, তার খোঁজ পাওয়া কি সোজা? তবু সায়েব লোকেরা নানা জায়গায় গিয়ে গিয়ে উপকথা সংগ্রহ করে করে ইংরেজিতে লিখে তুলেছেন, তাই তবু সেগুলো বুঝে সুঝে পড়া যায়। কত চমকপ্রদ উপকথা হয়তো নানা আঞ্চলিক ভাষায় রয়ে গেছে, ভাষা না জানা ...
আগের পর্বে দেখা গেছে হিরণ্যকশিপুর পাঁচ মিনিটের ছোটো যমজ ভাই হিরণ্যাক্ষকে দেবাদিদেব বিষ্ণু বরাহ অবতারে এসে হত্যা করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হিরণ্যকশিপু খুব রেগে গেল। তার রাগার সঙ্গত কারণ ছিলো। হিরণ্যাক্ষের এমন কোনো অপরাধ ছিলো না ছিলো না যে বরাহ অবতার হয়ে এসে বিষ্ণুর তাকে মারতে হবে। এদিকে হিরণ্যাক্ষের ঘরে প্রায় সদ্য-বিবাহিতা পত্নী, সেই মেয়েটির বিধবা জীবন কাটাতে হবে বিনা দ...
কশ্যপ আর দিতির ঘরে যমজ পুত্রসন্তান হলে আনন্দে তারা আপ্লুত। নাম রাখা হলো হিরণ্যকশিপু (স্বর্ণকেশ) আর হিরণ্যাক্ষ(স্বর্ণনয়ন)। চেহারার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নাম। ( এসব দেখে মনে হয় সোনালী চুল সোনালী চোখের এই মানুষেরা উত্তরপশ্চিমাংশের বা উত্তরের কোনো মানুষদলের লোক )। দিতির সন্তান বলে এরা দৈত্য নামেও পরিচিত।
গণকঠাকুর গণনা করে কইলেন দুই পুত্র খুবই তেজস্বী আর শক্তিশালী হবে, শস্ত্রবিদ্য...
উপমহাদেশের পুরান নানান চমকপ্রদ কাহিনিতে ঠাসা। আজকে বলি জয় আর বিজয়ের গল্প।
জয় আর বিজয় ছিলো বৈকুন্ঠের দুই দ্বাররক্ষক। বৈকুন্ঠপুরীর মূল ফটকের দু'পাশে শূলহস্তে দাঁড়িয়ে তারা নিত্য প্রহরা দিত। খুবই কর্তব্যনিষ্ঠ ছিলো তারা দুজনেই। বৈকুন্ঠপতি বিষ্ণু আর তাঁর পত্নী লক্ষ্মী দু'জনেই ছেলেদুটির উপরে খুবই প্রসন্ন ছিলেন।
একদিন মহাতেজা মুনি দুর্বাসা এসে ফটকে হাজির। খবর দেবার তর সয় না ত...
[হঠাৎ একদিন এসেছিলাম সচলে, তারপর থেকে মোটামুটি নিয়মিত লেখালিখি চলছে এখানে অনেকদিনই। কত মানুষ ভালোবেসে এই অকিঞ্চিৎকর লেখনীকে গ্রহণ করেছেন। বিরক্ত হলেও বলেন নি, ভালোবেসে কত কোমল কমেন্ট করেছেন। একসময় অতিথি থেকে পুর্ণ সচল করে নিয়েছেন। মাঝে মাঝে ভাবি হয়তো যোগ্যতা ছিলো না এত ভালো ভালো জিনিস পাবার। কি ভেবে তথ্যপাতা খুলে দেখি এইটা আমার ১৫০ তম পোস্ট! উ: উফ উরে বাবা! তাই কিছুদিন বিশ্রামে...