এই লেখাটা শুরু করেছিলাম ২২শে নভেম্বর ২০১১ তে। আজ ৯ই জুন ২০১২। কত তাড়াতাড়ি সময় বয়ে যায়। হঠাৎ ল্যাপটপের “হাউস কিপিং” করতে গিয়ে অসম্পূর্ণ লেখাটা পেলাম। এরই মধ্যে চাকরীটা পাল্টেছি, মেঘাও বেশ বড় হয়ে গেছে।
প্রথম পর্বের শেষ দিয়েই, দ্বিতীয় পর্বের শুরু...
৬টা বাজে। এত তাড়াতাড়ি বাসায় যাব? জীবন কত দ্রুত পাল্টে যায়। কিছুদিন আগেও অফিস থেকে এত তাড়াতাড়ি বের হতে পারলে ক্যাম্পাস-এ চলে যেতাম। আইবিএ অথবা বিজনেস ফ্যাকাল্টি’র বারান্দায় রাত পর্যন্ত চলত আড্ডা আর ইন্টারন্যাশনাল ব্রীজ। প্রেমে আর সাহিত্য চর্চার মত আড্ডা আর তাস খেলাটাও বোধহয় যৌবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
মন খারাপ নাকি মেজাজ খারাপ ঠিক বুঝতে পারছিনা। তবে এতটুকু বুঝতে পারছি যে, অফিসে ভাল লাগছেনা। মাত্র দু’সপ্তাহ হল আমি একটা লম্বা ছুটি কাটিয়ে ফিরেছি। এরই মধ্যে বেজায় ক্লান্তি জেঁকে বসেছে। গত কদিন ধরে চিত্তে উচাটন, বালুর মাঠ - কাশ বন ছাড়িয়ে ছুটেই চলেছে কল্পনাপ্রসূত মন। “ইচ্ছে করে যাই চলে যাই অনেক দূর...”।
১।
আমার মতে, কর্পোরেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, বা অন্তত হওয়া উচিৎ: সীমিত দায়িত্ববোধ। বিশেষায়ণও (মানে, specialization) একটা বড় ব্যাপার।
সমস্যা হল, একপর্যায়ে গিয়ে এ দুটাই মানুষকে ব্যাপক বিরক্ত করে ফেলতে পারে। এটা সিস্টেমের দোষ না, মানুষের দোষ। কিছু মানুষ মানায় নিতে পারে, কিছু মানুষ পারে না।
যেহেতু করপোরেট আরামদায়ক, ওই দ্বিতীয় টাইপের মানুষদের হয়তো আবার কর্পোরেট ছাড়তেও ব্যাপক অসুবিধা হয়। এক...