পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের চেয়ারম্যানের ভূমি জরিপ ঘোষণায় পাহাড়ে আবার নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভূমি বিরোধ পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান সমস্যা। সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা জরুরি মনে করছি।
খাগড়াছড়ি জেলার সিন্দুকছড়ির এক প্রত্যন্ত গ্রামে ফনেমালা ত্রিপুরা (৫০) তার পরিবার নিয়ে থাকতেন। জুম চাষই তার আয়ের একমাত্র উৎস। ফনেমালার স্বামী বিভিষণ ত্রিপুরা একজন ভূ...
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশজুড়ে পিতৃতন্ত্রের যে রকম বিস্তৃতি তা থেকে বাংলাদেশের পাহাড়ি সমাজব্যবস্থাও বেশি দূরে সরে যেতে পারেনি। এখানেও নারীকে অবদমিত করে রাখার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানা প্রবণতা লক্ষণীয়। তবে বাংলাদেশের অপরাপর সমাজব্যবস্থা থেকে পাহাড়ি সমাজব্যবস্থা কিছুটা উদার। যেমন, পাহাড়ি সমাজে পর্দাপ্রথা নেই এবং নারীর শ্রমের ওপর কোনো অলিখিত বিধিনিষেধ নেই। পাহাড়ি নারীরা তুলনামূল...
বিদ্যুৎহীন গাঁয়ে সন্ধ্যার পর পরই মনে হয় যেন গভীর রাত। সেই নিশুতি রাতে একটা গ্রামের শ দুয়েক লোক নিঃশব্দে এগিয়ে চলছে গহিন অরণ্যের দিকে- নিরাপত্তার খোঁজে। কিন্তু তার আগে পেরিয়ে যেতে হয় গাঁ ঘেষে চলে যাওয়া একটি পথ, যে পথই কিনা যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যেকোনো মুহূর্তে সেনাবাহিনীর লরি এসে হেডলাইটের আলোতে পুরো পথ আলোকিত করতে পারে। তাই সর্বদা আতঙ্ক থাকত, এই বুঝি সেনাসদস্যরা এসে পড়ল! ...
প্রথম পর্ব
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/26264
সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ে 'সেনা প্রত্যাহার' বা 'সেনা স্থানান্তর' নিয়ে আলোচনা আর বির্তকের শেষ নেই। অনেকেরই আশঙ্কা, সেনা প্রত্যাহার হলে পার্বত্যাঞ্চলে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যাবে, ওখানে আর কেউ বাস করতে পারবে না। আবার অনেকে ভাবছে, সেনা ছাউনি সরিয়ে নিলেই তবে সেখানকার নাগরিকেরা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে খতিয়ে দেখা যাক পার্বত্যাঞ্চলে সেনা-সংস্...
মধ্য এপ্রিলে বিজু উৎসব (উতসব) উপলক্ষে খাগড়াছড়ি যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। বিজু পার্বত্য জনপদের প্রধান উতসব। উতসবের নানা রঙের মধ্যেও একটি বিষয় খুব করে নজর কাড়ল, বিজু উতসবেও শিশুদের স্কুলে যেতে হয়েছে, ওদের বাবা-মাকে অফিসে করতে হয়েছে। পরীক্ষার মতো ভয়কাতুরে বিষয়েও ছাড় পায়নি অনেক পাহাড়ি শিশু। চৈত্র মাসের শেষ দুদিন এবং পয়লা বৈশাখ হচ্ছে পাহাড়ে বিজু উৎসব। (মারমারা ওদের ভাষায় বলে সংগ্রাই আর...
পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশের এক অস্থির জনপদের নাম। সরকারের মেয়াদ সবে সাত মাস পেরিয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে। সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ: `শান্তিচুক্তি পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর আরও ৩৫টি ক্যাম্প ও তিনটি পদাতিক ব্যাটালিয়নসহ একটি সম্পূর্ণ ব্রিগেড প্রত্যাহারে...