পড়তে পড়তে গিয়েও আবার সামলে নিলাম; দীর্ঘদিন পর আবার পুরনো এই পথে যেতে যেতে একটু আশ্চর্যই লাগছিলো - যতটা বদলাবে ভেবেছিলাম ততটা বদলায়নি মোটেও। অবশ্য পথ চলা ঠিক আগের মতো নেই। পথের মধ্যে বেশ পুরনো একটা গর্ত, কীভাবে হয়েছিলো কে জানে, সারা বছরই পানি জমে থাকে আর আশেপাশের রাস্তায় একটু থকথকে কাদা। ওটা এড়াতে গিয়ে হালকা একটা লাফ দিয়েছিলাম, যেখানে ল্যান্ড করলাম সেখানটাও একটু পিছল, পড়তে পড়তে সা...
- বাংলায় লিখছেন? কীভাবে?
ল্যাপি থেকে চোখ সরিয়ে তাকালাম। হৃদয়ে এক অশান্ত ঝড় বয়ে গেলো যেন! রাতের এয়ারপোর্ট লাউনঞ্জে একা বসে বসে সচলায়তন গুতানোর সময় এমন অযাচিত সঙ্গ পেয়ে নিজেকে 'গুগল' মনে হলো। নেশা ধরানো পারফিউম, চশমা'র লেন্স থেকে বিস্ময় দৃষ্টি আর লাউন্জের প্রায় নির্জনতা — সব মিলিয়ে অন্যরকম এক মধ্যরাত।
- তেমন কঠিন কিছুনা। সব-ই ফোনেটিক। এক ছোট ভাই মেহ্দি'র কল্যাণেই এতকিছ...
প্রথমদিকে প্রতি মাসের প্রথম শুক্রবারে ইলোরার সাথে আমার দেখা হতো। দেখা করতাম ঠিক সন্ধ্যা ৭টায়। ঘড়ি ধরে কাঁটায় কাঁটায় ২ ঘন্টা আমরা একসাথে। তারপর আবার একটি মাসের জন্য আলাদা হয়ে যাওয়া। ঘড়ির সাথে চলতে হবে; ছোট বেলার স্থিরকৃত এ লক্ষ্যে সে ছিল অটল!
- যদি জ্যামে আটকে যাও? বা অন্য কেউ আটকে দেয়?
- সে কারনেই তো আমি গাড়ি চড়ি না, বাসেও না। সময় একটা বড় ব্যাপার।
- সেটাই, হাটাও খুব ভালো...
এ কাবাব ঘরটা বেশ। স্কুল অব বিজনেসের সামনে মোটামুটি শস্তায় উন্নতমানের খাবার খাওয়ার সাথে উন্নত অর্থাৎ সুডো সুন্দরীদের ন্যাকামী দেখতে পারা যায়। বেশ লাগে। আমি এখানে প্রায়ই আসি নিশা'কে নিয়ে। মূলতঃ বিকালের দিকে। ওসময় একটু খালি থাকে আশপাশ। নিশ্চিন্তে বসে আড্ডা মারা যায়।
আজ এ কাবাব ঘরটায় অন্যান্য দিনের তুলনায় একটু ভিড়। একটা দল ঘোঁট পাকাচ্ছে। সবার আগে হাতি সাইজের একজনক...