[justify]
সুপ্তার বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে জীবনকে জীবনের হাতে সঁপে দেয়া! বিসিএস পরীক্ষার খাতায় রাগ করে শিক্ষা ব্যবস্থার সনাতনী মুখ এঁকে গোল্লায় যাওয়া, মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে ডাবলু বাসটাকে বৃদ্ধাঙুল দেখিয়ে দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে হরতাল কীভাবে করে তা শিখিয়ে দেয়া; যে ছিলো সম্ভবনার খনি, অপসৃত রোদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে সে পেটে মারলো, বুকে জাগিয়ে দিলো দামাল নদী আর অসংখ্য কুমির।
তবু-ও জুতোর ফিতে ঠিকই ...
=================================
ইচ্ছেকথা ১
=================================
১১
মধ্যরাতে ফুলডাঙায় বকুলের সরা উল্টে তীব্র গন্ধ আসে।
একটি দোয়েল ডেকে উঠে নিউরনের সবুজবাড়িতে; সেই দোয়েলের বুক হলদে-সাদা, কেবল কোমরে নোনতা লাল রঙ লেগে আছে। এইসব রঙ আবার দিনচক্রের উপর নির্ভর করে বিবিধ প্রকারে ধরা দেয় এবং পাপ হয়। পাপের রঙ প্রকৃত-প্রস্তাবে সাদা।
ঈশ্বর নিরাকার নন। তার আকার বিষয়ক গবেষণার মুখে ছাই-ভাত দিত...
====================================
০
না হয় দেরী করে ফিরেছি বাড়ি
ঝাঁঝালো খোঁপার মাঝে অসমাপন রেখেছো
রূপকথার মতো রহস্যের বেণী!
কূলপ্লাবী ঠোঁটে সমুদয় ওয়ার্কার-ইউনিয়নের
আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার নন্দন;
না হয় আলসে করে হাঁটি।
ফুলটুসি বাহুতে জল বরাবরই ভসকা:
মূলত স্নানটবে পানি জমার কারণ ব্যতিক্রম নয়।
না হয় একটু দেরী করে বের হয়ে আসি।
অন্ধ পিঁপড়েরা টগবগ করে ডানা মেলতে জানে
সুদৃষ্ট কেউ শিখে রাখে উড্ডয়নের অঙ্...
সবিতা, বাড়িতে একলা দরজাটা আছে।
অঋণী গৃহস্ত গেছে জলের ধারে, শাপলাফুল ভেজে আজ ভোজন হবে।
সবিতা, জানালাগুলো মায়ামায়া খোলা।
জানালারা কথা বলতে জানে, জানালারা কথা শুনে।
একটা কমলাগাছ দাঁড়িয়ে আছে বারান্দায়। কলম করা, বনসাঁই। কমলাগাছ বাতাস হাতড়ায়।
দরজা উঁকি দিতে গিয়ে খুলে যায়।
চুরচুর।
সবিতা, অইটা কী জানো? টিকিটিকি। গৃহস্ত বাড়ির নিরব দর্শক।
টিক-টিক-টিক।
বাহ্! এমন শো-পিস সবাই আজকাল খর...
অ
লোকটি দাঁড়ির ফাঁকে রোদের লুকোচুরি নিয়ে সূর্যে এসে দাঁড়ায়। রোদে শরীর রাখে।
খালি গা থেকে উড়ে যায় কতকগুলো ঘামের চিল। একবার মেঘের শ্রীটা দেখে নিয়ে পা বাড়ায় সে- যেতে হবে ঝুপড়ি দোকানে; বেলা হয়ে আসছে- বারটার পরে কলিমমিস্ত্রি আর চা করে না। কলিমমিস্ত্রি চায়ের কারিগর, কাঠের না। অথচ তার দোকানের মন্দার কাঠের বেঞ্চিতে বসলে আরাম লাগে- গরমকালে স্রোতেলা জলে স্নান দিলে যেমন লাগে সেরকম। বসে ব...
খুব অযৌন দেখি তোমার চুলের সংসার,
ঘুমের শুদ্ধিপত্র।
বিছানায় অঙ্কিত ফুলগুলোর আলগা ছেড়ে
সহাস্যে মুদে আসে রাতের চোখ,
মশারীর ভিতর তোমার বুকের 'পরে সুতোর শিল্পায়ন
দেখি। পাশ ফিরে ঘুমাতে গেলে উচ্ছন্ন সৈনিকের
বুটের শব্দ নিয়ে ছিঁড়ে যায় বোতামের জমাট।
কাল আমাকে আবার সুঁই-সুতোর বিজন নিয়ে বসতে হবে-
অথচ বোতামফুলের রঙঘ্রাণ ভুলে গেছি!
শার্সিতে রোদের বিতরণ দেখে হয়তো
কাল সকালে
স্লেটে শিশু...
আমি তাকে দেখতে যাই পাতার সংকলনে,
সফেন মেঘের অন্নে;
খামার উজানে দিয়ে দিই রাতুল দোয়েল।
আশাবরী সুর নিয়ে অনেক শহরের নাল হাঁটে
হাঁটে অজস্র ঘৌড়ার পা; পাঞ্জাবীর খুঁটে ঝুলে
থাকে সূর্য!
রোদের শরাব পানে হয়ে গেছি শিমের রঙনেশা
আমার হাতে নৃত্য করে নিদাঘ দুপুর
কাঁধে সোডিয়াম-বাতির ঝুনঝুন।
তার পাতার সংকলনে জানিয়ে দিই শহরের শ্লোক।
এখানে রোদ জমে আলোর নদী হয়ে যাচ্ছে। আমরা গতরাতের কুয়াশার চাদর খুলে ঝাঁপি দিই, ঝাঁপি দিই বিবস্ত্র শরীরে। জলের ওম লেগে আসে আস্তিনে, চোখে, মুখে, নাকে। আমরা হাঁপি খাই। মাছের ঘ্রাণ নিয়ে অটুট হয়ে আছে কয়েকটি শালুক। আমরা তাদের কাছে গিয়ে দাঁড়াই। রোদের গল্প শুনি।
আমরা শুভালক্ষ্মীর জলে সিনানে।
দূরবর্তী মাঠে স্তনমতো হয়ে আছে একটি বট; তাহার শাখাহাড়ে, পাতার গোপনে কতগুলো শালিক খেলা করে বাতাসের...
হুইসেল বাজিয়ে নিলীকা চুষে নিচ্ছে সমস্ত বিকেল,
আমি পুড়ে যাচ্ছি, পুড়ে যাচ্ছে ফিঙেশিস্!
লাউ পাতার নরোম নরোম দেখিয়ে নিলীকা কেড়ে
নিচ্ছে জোনাকনদীসন্ধ্যে;
অভিমানে নারিকেল পাতায় আঁছড় কাটে একটি দোয়েল-
একটি দোয়েল।
খুব সন্তোপণে আমরা পিছনে ফিরে যাই
পিছনে উঠে আসে নিরুদ্দেশ মাঠ
আর আইলের অচিন।
জন্মান্ধ হয়ে খুঁড়ে গেছি পাতার জংশন,
মেঠো ছত্রাক কান্না।
পদ্মফুলের আস্তিনে সূর্যের পরশ সুবঁধ...
অন্য কোথাও আমার অস্তিত্ব ছিল, তাই তোমাদের যকৃতে কোন নিমের ক্ষেত বুনে দেই নি।
জলে স্বচ্ছন্দ হয়ে গেছি
পাতায় ভেসে ভেসে শুভালক্ষ্মী
জলে শরীর খুলে আছি
কাহার দৃষ্টিতে ডাকে মীনআঁখি
মুঠোমুঠো ছইয়ের কোমল
গেঁথে নিয়েছি জলভ্রমণে,
ক্ষেতের দোয়েল মখমল
বাতাসে ডুবি দেয় সন্তরণে;
আমি দোয়েলছায়ার মর্মর
জলে আঁকি তোমার শরীর
তুমি নক্ষত্র হও, আমি নিমের ক্ষেত বুনে দিব।