পৃথিবীর সবচেয়ে মৌলিক ও অবধারিত ব্যাপারগুলোর মধ্যে বিদায় একটি। মন না চাইলেও তাই সব বিদায়ই এক সময় সয়ে যায়। আমার নিজের কাছে এই দিক থেকে বিশাল এক ব্যাতিক্রম আমাদের জুবায়ের ভাই। এই মানুষটা নেই, সেটা মন মানতে চায় না। শেষবার কথা হওয়ার সময় যেই কণ্ঠ শুনেছি, সেটা আজও কানে বাজে। জালাল ভাইয়ের ফোনে যখন জুবায়ের ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পাই, আমার মনের একটা অংশ ঠিক সেই মুহূর্তটাতে আটকে আছে। জুবায়ের ভাই তাই আমার কাছে স্মৃতি নন। আমি ওনার জন্ম-মৃত্যু এলে স্মরণ করি "আহা, অনেক দিন জুবায়ের ভাইয়ের সাথে কথা হয় না" বলে। আজও denial-এর পর্বই পার হতে পারি নাই, তাই জুবায়ের ভাই সম্পর্কে লিখি না তেমন একটা। তাঁকে যে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনে না, সেই অভাগাকে বোঝানোর মতো ভাষাশৈলী ঈশ্বর আমায় দেননি।
ব্যস্ততা আমার অবসর কেড়ে নিয়ে হাতে ধরিয়ে গেছে অবসাদের তোড়া।
একটা ফিল্ড রেকর্ডার কেনার ইচ্ছা ছিলো অনেকদিনের, ব্যাটেবলে পেরে উঠছিলাম না। জিনিসটা হাতে আসার পরও একটু ঘেঁটে দেখার সুযোগ মিলছিলো না ব্যস্ততার জন্যে। আজ দুত্তোরি বলে কাজ থামিয়ে ঠিক করলাম, পরখ করে দেখি জিনিসটা কেমন কাজে দেয়।
-"ভালো হলে সেরে যাবে.."
-"কি ভালো হলে কি সারবে???"
গত বছর মার্কিন হিসেবে ২৪ সেপ্টেম্বর আর বাংলাদেশী দিনপঞ্জি অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বরে আমার ভাই মুহম্মদ জুবায়ের চলে যান। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল একটি বছর।
এই উপলক্ষে আমাদের মা আগামী শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখ বিকেল ৫:০০টায় বনানীতে আমাদের বোনের বাড়িতে ছোট্ট এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। সেখানে তিনি তাঁর প্রয়াত সন্তানের কাছের মানুষদের উপস্থিতি চান। তিনি জানেন সচলের...