প্রকৃতী বড় হেয়ালী আর খেয়ালী, এখানে ঘটে যায় কতো কিছু! কখনও বা সেটা আনন্দের, কখনও কষ্টের আবার কখনও বড়ই অদ্ভুত। প্রকৃতী আমাদের শুধু 'মানুষ' হয়েই চলতে শিখিয়েছে। তাই পাখির মতো উড়তে গেলে, মাছের মতো পানির নীচে চলতে গেলে আমাদের 'টেকনোলজি'র সহায়তা নিতে হয়। তো যাই হোক, ব্যাপার সেটা না। ব্যাপার হলো প্রকৃতীতে ক্যামোফ্লেজ করে পরিবেশের সাথে মিশে থাকার পাশাপাশি আরো একটা মজার ঘটনা আছে আর তা হলো ডিসগাইজ বা ছদ্মবেশ ধারণ। এন্ট মিমিকিং জাম্পিং স্পাইডার হলো এমনই একটি ছদ্মবেশী মাকড়শা যে দৃশ্যত পিপড়ার মতো বেশ ধারন করে তার শিকারকে বোকা বানায় এবং সেই সাথে নিজেও শিকার করে।
ব্যাপারটা কিছুই না, জাস্ট প্রেসেন্টেশন। আপনার ছবিকে কম্পোজিশন, লাইট, কালার সব দিক থেকে পার্ফেক্ট করে উপস্থাপন করবেন আপনিই, অন্যকেউ এসে এটা করে দিয়ে যাবে না। সুতরাং আপনার ছবিকে ধরে পোস্ট প্রসেস করে উপস্থাপনের ক্ষেত্রে কে কি বললো এগুলো নিয়ে চিন্তা করে অযথা সময় নষ্ট করার কোনোই মানে হয় না। সেই আদী কাল থেকে 'পাছে লোকে সর্বদাই বলে।' সুতরাং ঝাঁপিয়ে পড়ুন আপনার নিজস্ব ক্রিয়েটিভিটি নিয়ে।
ইদানিং তেল-পানি-রং নিয়ে মেতে আছি বেশ কয়দিন। অনেক হাবি-জাবি শেষে ভাবলাম কিছু পাগলামী না হয় ব্লগে তুলেই রাখি। আগের পর্ব ছিলো ত্যালগাফি নিয়ে, এবারের পর্ব পানি নিয়ে ... ও দরিয়ার পানি, তোর মতলব জানি; পানিরে পানি, জানি রে জানি ...
ইদানিং তেল-পানি-রং নিয়ে মেতে আছি বেশ কয়দিন। অনেক হাবি-জাবি শেষে ভাবলাম কিছু পাগলামী না হয় ব্লগে তুলেই রাখি। এবারের পর্ব তেল নিয়ে, তেল ... ত্যালত্যালাতেলতেল ...
২৪ মার্চ, ২০১৪, সোমবার আমি, রাব্বি, কুমার, আরিফ, নোমান আর রনি বেরিয়ে গেলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। গন্তব্য বগালেক, পুকুর পাড়া, রাখাইন ফলস। আর আসা-যাবার সময়ের দুর্দান্ত সব পথ তো আছেই! ৫ দিন হাঁটা আর আরাম - আয়েশের একটা ট্যুর ছিলো এটি। সাথে ছিলো আমাদের গাইড বিকাশের অসাধারণ বার্বিকিউ, আমাদের মন ভরে হুল্লোড়, ছবি তোলা এবং পাহাড়ি ললনাদের সাথে সুযোগ বুঝে টাংকিবাজী। ট্যুরের দ্বিতীয় এবং শেষ কিস্তি বগালেক থেকে পুকুর পাড়া আর রাখাইন ফলস নিয়ে দিলাম।
২৪ মার্চ, ২০১৪, সোমবার আমি, রাব্বি, কুমার, নোমান, আরিফ আর রনি বেরিয়ে গেলাম বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। গন্তব্য বগালেক, পুকুর পাড়া, রাখাইন ফলস। আর আসা-যাবার সময়ের দুর্দান্ত সব পথ তো আছেই! ৫ দিন হাঁটা আর আরাম - আয়েশের একটা ট্যুর ছিলো এটি। সাথে ছিলো আমাদের গাইড বিকাশের অসাধারণ বার্বিকিউ, আমাদের মন ভরে হুল্লোড়, ছবি তোলা এবং পাহাড়ি ললনাদের সাথে সুযোগ বুঝে টাংকিবাজী। ট্যুরের প্রথম কিস্তি শুধু বগালেক নিয়েই দিলাম।
[ একটা দিন কাটালাম সাঙ্গুর বুকে চড়ে, সেই ভোর থেকে প্রায় রাত অব্দি। দেখা পেলাম নীল পাহাড়ের বন্ধুত্বপূর্ণ কতগুলো মানুষের। আর স্বর্গের মতো সুন্দর এক পাহাড়ী গ্রাম, হাসি-খুশি ভরা মানুষের ছোট্ট একটা মেলা। এইতো আমার দেশ, এইতো আমার মাটির পরিচয়, এর আলো-হাওয়া'ই তো প্রকৃতীকে ভালোবেসে আমার হয়ে উঠা দুরন্ত দস্যু!]
চট্টগ্রামের মিরেরসরাইয়ে খৈয়াছড়া এলাকায় অবস্থিত এখন পর্যন্ত আবিস্কৃত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঝর্ণাটি। এলাকার নাম অনুসারেই এই ঝর্ণার নাম খৈয়াছড়া ঝর্ণা। অনিন্দ সুন্দর এই ঝর্ণাটির মোট নয়টি ধাপ রয়েছে। এই কিছুদিন আগেই কয়েকজনা মিলে ঘুরে এলাম সেখান থেকে।
মাঝে মাঝে খুব অবাক হই, বুঝে উঠতে পারি না যে কেনো এই পাগলামী আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে। আর মজার ব্যাপার হলো, এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়, বহু আগে থেকেই আমি এরকম! আমাকে যারা ব্যাক্তিগত ভাবে চিনেন, তারা খুব ভালো করেই এটা জানেন! মনে পড়ে অনেক আগের কিছু ঘটনা, ৮৯ কি ৯০ সালের দিকে হবে। বাসায় যত অনুষ্ঠান হতো সেখানে অবধারীত ভাবে ক্যামেরাটা আমার গলায়ই ঝুলতো। অন্য কোনো দায়িত্ব নেবার কথা বললেই আমার হাজারো অজুহাত কিন্তু ছবি তুলতে হবে – এটা বলা হলেই আমার আর কোনো রা নেই। ছবি তুলতে যারা ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতো, তাদের চেয়েও বেশি ব্যস্ত থাকতাম আমি ছবি তোলায়! কি এক বিশাল কর্মযজ্ঞ করে যাচ্ছি – এমন একটা ভাব নিয়ে এলোমেলো ছুটোছুটি লাগিয়ে দিতাম। আমরা তিন ভাইবোন মিলে টিফিনের টাকা, বাজার থেকে ‘মেরে’ দেয়া টাকা জমিয়ে ফিল্ম কিনতাম। ফুজি আর কোডাক ফিল্ম গুলো তখন স্টুডিও গুলোতে খুবই সহজলভ্য ছিলো। ISO জিনিশটা তখনও বুঝতাম না, শুধু ISO 100 লেখা দেখে কিনতাম। কারণ কোন এক স্টুডিও থেকে জেনেছিলাম যে, এটা বেশি স্পিডের ফিল্ম! কিন্তু কেনো এর স্পিড বেশি বা সেই স্পিডটাই যে কি, তা জানতে চাইনি। এখনো বাসার ‘ফ্যামিলি ফটো এ্যলবাম’-এ সবার মাঝে আমার অনুপস্থিতি এটাই মনে করিয়ে দেয় যে, ফটোগ্রাফারটি আমিই ছিলাম।
ফটোগ্রাফি নিয়ে আমার পথচলা বহুদিনের। দিন-মাস-বছরের হিসাবটা আর নাইবা করলাম। কারণ এই পথচলাটা ‘ধারাবাহিক’ নয়। মাঝে মাঝে কিছু ‘বিশাল’ বা ‘ছোট্ট’ বিরতী রয়েছে।