অফিসে বসেই শুনলাম খবরটি। তখনও লাঞ্চ করিনি। অনেকক্ষন 'হা' করে বসে থাকলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না, ঠিক কি হলো বা কি হতে যাচ্ছে। অফিসের জামাতপ্রেমীদের মুখে ফিঁচেল হাসি, কেউ অবশ্য আমার সামনে পড়ছে না ভয়ে। আর লীগ-বিরোধীদের একরাশ উচ্ছাস নিয়ে জিজ্ঞাসা - ' স্যার, আপনি যে বলতেন জামাতের অনেক টাকা, আসলেই সত্যি। দেখলেন কেমন করে হাসিনাকেও কিনে নিলো!' এই বলে শুরু হলো তাদের ঘটনা ব্যাবচ্ছেদ। আমি কোনো কথা না বলে বোঝার চেষ্টা করছি, অনেকটা বোবার মতো - শুধু এদিক ওদিক তাকিয়ে। পুরোপুরি 'পাজলড' যাকে বলে, আমার অবস্থা সেই রকম!
বর্তমান সময়ের হটকেক হচ্ছে রাজনীতি। ফেসবুকে-ব্লগে সবাই বেশ সরব এ নিয়ে। আমি হলাম বোকা হদ্দ মানুষ, ওসব আমার মাথায় ঢুকে না। সক্কাল সক্কাল অফিস যাই, সারাদিন কামলা খাটি, এর ফাঁকে সময় পেলে ফেসবুকে ঢুঁ মেরে সবার স্ট্যাটাস পড়ি, ব্লগেও হানা দেই আর রাত করে অবসন্ন হয়ে বাড়ি ফিরে খেয়ে ঘুম।
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
[ হ, আমি একজন টিউটোরিয়াল খেলাপি, কতা আছিলো HDR লয়া একটা টিউটোরিয়াল লিখুম কিন্তু এখনও তা সচলের পাতায় দেখা যায় নাইক্কা। জিগান, ক্যা? আরে ভাই অফিসে হারাডা দিন কাম-কাজের তলে পইড়া থাকি, কুনু দিকে কুনু মন দিতে পারিনা। কিন্তু কতা অইলো, এক্কেলে যে লিখি নাই তা কিন্তু না ... লিখছি রে ভাই, তয় পুরা ফিনিশ মারতে আরো কিছু টাইম-টুম দরকার। এতো অধৈর্য অইলে কি আর অয় ... ছবুরে মেওয়া ফলে ... হেইডা কি বই খাতায় পড়েন ন...
২৪ এপ্রিল, ২০১০
হুমায়ূন আহমেদের একটা ভুতের গল্পে পড়েছিলাম ভূতরা নাকি 'আলো' খায়। সে অনেক আগের কথা, কিন্তু অনেক বছর পর এসে একটা জিনিশ বুঝতে পারলাম - ঐ গল্পের ভূতের সাথে ফটোগ্রাফারদের অনেক মিল। হ্যাঁ, কোনো ফটোগ্রাফারের সামনে তার প্রিয় ডিশ রাখার পরও সে যদি বাইরে চমৎকার আলো পায়, তাহলে সে অবশ্যই ঐ খাবার ছেড়ে বাইরে চলে আসবে ছবি তুলতে। যদি কারো কখনও কোনো পাগলা ফটোগ্রাফারের সাথে বাইরে কোথ...
ঠিক কিভাবে আর কি দিয়ে শুরুটা করবো তা ভাবতে ভাবতে একটা সময় গিয়ে মনে হলো - কি আর পারি? আসলেই তো তাই! আর যা পারি তা দিয়ে কি করা যায়, সেই প্রশ্নটাও কিন্তু থেকে যায়। কাজের মধ্যে আছে একটু অফিস যাওয়া, ঘুরাঘুরি করা, ছবি তোলা, সচলায়তন-এ ঢূঁ মারা আর একটু-আধটু ফেসবুকিং & ফ্লিকারিং ... এই তো! তবে হ্যাঁ, ঐ ছবি তোলার কাজ নিয়ে কিছু একটা করা যায়, তার সাথে ঘুরা-ঘুরির কিছু ঘটনা জোড়া দিয়ে। বাহ, বেশ তো!
এইতো ক'দিন ...
[অত্র অঞ্চলে প্রবেশের পুর্বে একবার নয়, দুইবার নয়, প্রয়োজন বোধে সহস্রবার ভাবিয়া-চিন্তিয়া, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করিয়া এক সপ্তাহের মধ্যে উক্ত কমিটির ইন্টেলেকচুয়াল রিপোর্ট লইয়া গুরুগম্ভীরতার সহিত মস্তিষ্কের তীব্র চিন্তা-চেতনা মিশাইয়া বিবেচনা করুন। যাঁহারা উত্তম সাহিত্য অন্বেষণে নিজেদের জীবন-যৌবন বন্দক রাখিয়াছেন তাঁহাদের জন্যে এই অঞ্চলটি অতীব ঝুঁকিপূর্ণ বলিয়া ঘ...
[বহুদিন কিছু লিখিনা, কলমের কালিতে জং ধরেছে। আজ একটু সময় পেলাম, কারণ বাসায় এসে রাত অব্দি অফিসের কাজের সাথে সহবাস করতে হবে না। তাই তাড়া নিয়ে আবোল-তাবোল একটা লেখা দিলাম। সচলের নীড় পাতাটা আমার লেখা না পেয়ে খুব হা-হুতাশ করেছে বলে গোপন তথ্য পেয়েছিলাম। আজ সেই দুঃখ ঘোঁচাতে এগিয়ে এলাম। কিন্তু ঝুলিতে এলে-বেলে কিছু ছবি ছাড়া আর কিছুই পেলামনা। কি আর করা, ঐসব ছবি নিয়েই আবলু-ঝাবলু লেখার ধান্দা কর...
[ আমি লুকটা খুউপ খ্রাপ, নইলে হিমু বাই, মেন্দি (ঐ মেহেদী আর কি) কইলো HDR লয়া ছচলে একটা টিউটোরিয়াল মারতে - মারি নাই, আবার ডাগদর ছাইপ বাইরে কতা দিসিলাম ২-১ দিনের মইদ্যে লেখা দিমু হেইডা ৫ দিন পারায়া গেলোগা ... ... ... আসলে কানা লুক ত, তাই ঠিক মতো সময়-তারিক দেক্তারিনা। ] - এইটা কুনু ডিস্ক্লেইমার না, আমার মঞ্চাইছে তাই লিকছি। জীবিত বা বিবাহিত কারু সাতে কুনু মিল পাইলে ঐটা নিতান্তই কাকতাল ... ... ... হে...হে...হে...!!!
...