ইতিহাসে অনার্স পাশ করে টানা দুইবছর ধরে বেকার ছিলাম। শখানেক দরখাস্ত ফেলেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত অনেক ধরাধরি করে একটা ফার্নিচার কোম্পানিতে কেরানীর কাজ জোগাড় করলাম। দায়িত্ব হল কাঠের সাপ্লাইয়ের হিসাব রাখা। পোস্টিং একদমই অজানা-অচেনা এক গ্রামে। বেঈমান শহুরে জীবনের পাছায় লাথি মেরে চলে আসলাম।
আমজনতা সাইদুল,কৃষিকর্মী,থাকে আড়ানীতে।নিজের অল্পকিছু জমি আর অন্যের জমি।ফসল ফলিয়ে দিনমান আনন্দে কেটে যায়।সাইদুলের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণ, আজকের নাগরিক বনাম রাষ্ট্র দুইপাক্ষিক চুক্তি উপপাদ্যের ক্যাচালের বিষয়।
এই সাইদুল প্রাইমারী স্কুলের পর দারিদ্র্যের চাপে আর এগোতে পারেনি। পৈতৃক কৃষি পেশা থেকে অন্ন বস্ত্র আসে। সরকারী হাসপাতালে ডাক্তার নেই,ওষূধ ...
সেই আদিকাল থেকে নর-নারীর সম্পর্ককে যতই রহস্যের চাদরে ঢেকে রাখার একটা প্রবনতা থাকনা কেন, এখন এই আধুনিক যুগে এসে তা বোধহয় আর পারা যাচ্ছে না । এখন এমন একটা যুগের ভিতর দিয়ে আমাদের যাত্রা, যখন তথ্য ও জ্ঞানের মহাসড়ক হাতের খুবই কাছে, ইচ্ছে করলেই সড়কে ঢুকে পড়া যায় । এখন মানুষ অনেক বেশী জ্ঞান, বিজ্ঞান যুক্তির মাধ্যমে, কি, কিভাবে ও কেন বোধক প্রশ্নের দ্বারা প্রায় সব বিষয়ে সত্যের কাছাকাছি যেতে...
মফস্বলের এই থানা শহরে সব দিন ইলেক্ট্রিসিটির মা বাপ থাকে না, সেদিনও ছিলনা। সূর্য ডোবার আগে আগে মুরগী টুরগী খোপের মধ্যে ঢুকিয়ে বৌ ঝিরা কুপি হাতে রান্নাঘর থেকে উঠান পার হয়ে বড় ঘরের মাটিতে পাটি বিছিয়ে স্কুলের পড়া মুখস্থ করা কিশোর বয়সী বাচ্চাকাচ্চাগুলোকে হ্যারিকেনের আলো উস্কে – ‘এই জোরে জোরে পড়, পাকের ঘর থেইকা য্যান শুনতে পাই’-বলে আবার রান্না ঘরে ফিরে গিয়ে চুলায় খড়ি গুজে তুষের ছিটা ...