খেয়াল করে দেখলাম, বর্ণবাদ ব্যপারটা পশ্চিমাদের মধ্যে প্রবল, এইরকম একটা ধারণা একচেটিয়াভাবে চালিয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা আমাদের বাঙ্গালীদের মধ্যে আছে। স্কটল্যান্ডে এক ব্রেড এন্ড ব্রেকফাস্টে বা অস্ট্রেলিয়ান আউটব্যাকের এক সার্ভিস স্টেশানে কে কি অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছিলো, সেইটা আমরা অনেকেই ফলাও করে বলি।
বাঙালিকে রেসিস্ট বলে গালি দিলে সবার আগে গালিটা এসে পড়ে নিজের উপর, আমি নিজেই যে বাংলায় কথা বলি।তারপরও প্রশ্নটা মনে আসে, ‘বাঙালির চেয়ে বড় রেসিস্ট পৃথিবীতে আর কারা আছে?’ নিজেরাই আমরা সবসময় বলি, বাঙালি একটা পরনিন্দাকারী জাতি। পরনিন্দাটা আসলে ঠিক নিন্দা নয়, অনেকাংশেই ঘৃণা।রেসিজমের অনেক প্রকারভেদ আছে; গায়ের রঙের প্রতি ঘৃণা, চেহারার ভিন্নতার প্রতি ঘৃণা, ভাষার পার্থক্যের জন্য ঘৃণা, ধর্মীয় বা সাংস্
রেসিজম, মানবতার বিরুদ্ধে সবচেয়ে আদি শত্রু এবং মানুষের সবচেয়ে পুরোন সাথী। মানুষ যেদিন হতে ঈশ্বর আর শয়তান নামের দু’জনকে চিন্তা করতে শুরু করলো এবং ভাল ও খারাপ কাজের জন্য যথাক্রমে দু’জনকে দায়ী করতে থাকলো, সেদিন হতে রেসিজম মানুষের চিন্তার সঙ্গী। ছোটবেলায় পড়েছি, “পাপকে ঘৃনা কর, পাপীকে নয়’- এই কথাটি আজো অক্ষরে অক্ষরে সত্য হয়ে রয়ে আছে। যেদিন হতে আমরা ভেবেছি ভাল কাজ হচ্ছে ঈশ্বরের আর খার...
[justify] শান্তি বজায় রাখতে যাঁরা আগ্রহী তাঁদের মতামতকে হেয় করতে এই লেখা নয়। আমি তাঁদের সদুদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান নই। কিন্তু তার পরেও লিখছি, তার দুটি কারণ আছে।
এক, শান্তি রক্ষার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ অমানবিকতার প্রকাশ রোধ। বিশদে বলবো সে কথা।
দুই, সচলায়তনের পরিবেশকে নিষ্কলুষ রাখা। একজন সচল হিসেবেই সেটা আমার কর্তব্য বলে মনে করি। এই কাজ মডারেটরদের ঘাড়ে ফেলে দিয়ে নিশ্চিন...