সূত্রধর!
ওহে নিরালা মানুষ, ঘরের আঁচলে খুদকুটো জমেছে যা,
তার সব নৈবদ্য জ্ঞানে পূজা করলেই দেখবে পূজারী মন
বেহালায় সংগত; সেইসাথে আলাপ জুড়ে দিতে একটা
মিঠেকাড়া মন্দিরা দূরাগত বাঁশীটাকে টেনে নেবে যখন -
তখন তুমি চাইলে একটা হারমোনিকা খঞ্জনির বোলে
যে গাইবেনা তার দিব্যি তোমাকে কে দিয়েছে কবে?
বাজো! গ্রহন লাগা ঘনঘোর নিশ্চিত জলের দেখা পাবে,
তারপর সাধিত গলায় জটাধর বিবাগী তুমি গেয়ে উঠলে -
১.
বুড়ো রাইনাস আজ বাঁজাবে। প্রায় এক শতাব্দীর স্বেচ্ছা-নির্বাসনের পর। সবুজ গ্রহের অধিবাসীরা আসছে বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে। তাঁদের সম্মানে বাঁজাবে রাইনাস। প্ল্যানেট ভরবিসে আজ তাই উৎসবের দিন।
নগরীর ধারে এক বাবা প্রাতঃভ্রমনে বের হলেন তার ছোট্ট মেয়েকে নিয়ে।
- বাবা, বুড়ো রাইনাস নাকি সবুজ গ্রহের অতিথিদের বাঁজিয়ে শোনাবে?
- হ্যাঁ মা। আমরাও শুনতে পাব। খুব খুশির একটা দিন মা।
- রাইনা ...
দশ বারোজন সখী সখী মেয়ে ছিলো আমাদের অমোঘ পাড়ায়
যেখানে সমুদ্র নাই, সমুদ্রের ছায়া এসে জরাক্রান্ত করে যায় রাত।
সে রকম রাত জমে এলে রন্ধ্রে ঘনিয়ে ওঠা সুর নিয়ে
মেয়েগুলো ছুটে যেতো গভীর দুপুর,
নিষাদ বাতাস ধাওয়া খেতো সোজা রেললাইন।
হারমোনিয়ামের রীড ভেবে তারা বহুদিন রেললাইন বাজিয়েছে,
বাজিয়েছে পরস্পর পরস্পরে, বুকের পাঁজর।
আমাদের পাড়ায় কোন হারমোনিয়ামের চল ছিল না,
ছিলো কিছু গান জানা পা...