ছোটবেলায় ডায়রি লিখতাম। সে ক্লাস নাইনের কথা। আবারও ডায়রি লিখা শুরু করি ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর। টানা ৪ বছর ধরে ডায়রি লিখেছি। এরপর কি যেন হয়ে গেল, আর লেখার তাড়না কিংবা প্রেরণা কোনটাই আসে নি। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসে পুরাতন বইপত্র ঘাঁটতে ঘাঁটতে আচমকা ডায়রি ৩ টা চোখে পড়ল। নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হতে সময় লাগলো না। ডায়রির পাতা উল্টাচ্ছিলাম আর অতীতে ফিরে যাচ্ছিলাম বার বার। ক্লাস নাইনের ডায়রির একদম শেষ পৃষ্ঠায়
কবি চন্দ্রাবতীর নাম শুনি সেই ছোটবেলাতেই। আমাদের কিশোরগঞ্জে “শুরূক” নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু ছিল (এখন বন্ধ)। আমার জীবনের প্রথম লেখা এই পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল। যেই সংখ্যায় আমার লেখাটি ছাপা হয় সেই সংখ্যাতেই চন্দ্রাবতীর উপর একটা প্রবন্ধও ছাপা হয়েছিল। চন্দ্রাবতীর সাথে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
একেকটা দিন চলে যায় আর তার সাথে চলে যায় কিছু আলো, কিছু রঙ, কতগুলো চেনা-অচেনা অবয়ব। আমরা কখনও যেতে দেই, মনমরা হয়ে ভাবি – ধরে কি রাখতে পারতাম না একটু! আবার কখনও ধরেই রাখি, বেঁধে রাখি স্মৃতীতে! ঝাপসা হয়ে যাবার পরও তো তাই আমরা খুঁজে বেড়াই বার বার! এরকম হাজারো আলো আঁধারিতে মিশে যেতে থাকি, মিশিয়ে নিতে শিখে যাই নিজের স্বত্তাকে সময়ের সাথে সাথে।
ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে আমার একটি বিশাল দূর্বলতা আছে আর সেটি হলো আমি লাইফস্টাইল একদমই পারি না। কিন্তু এবার যখন কিশোরগঞ্জ যাচ্ছিলাম তখন মাথায় একটা জিনিশই ঘুরপাক খাচ্ছিলো যে আমাকে এইবার লাইফস্টাইল ছবির এক বিরাট চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে হবে। কেননা এই সময়ে লেন্ডস্ক্যাপ একটা দুইটা তোলার পর একদম মনোটোনিক হয়ে যাবে। আর মাঠে মাঠে মানুষের ব্যাস্ততার ছবি তো আর লেন্ডস্ক্যাপ নয়!
এবার কিশোরগঞ্জ গিয়ে চোখ জুড়ানো সোনালী ক্ষেতে মানুষের ব্যাস্ততা দেখে অবাক হলাম। যতটুকু সময় পেলাম শুধু শাটার চেপেই গেলাম ... ৪ দিনে ১২ গিগাবাইট মেমরি ফুল! কিন্তু আমি আবার খুব আলসে টাইপ, তাই প্রসেসিং-এ অনেক টাইম নেই। অনেক গুঁতাগুঁতির পর কয়েকটা রেডি করতে পারলাম। সেগুলো নিয়েই এই ব্লগ।
[প্রায় দু'মাস সচলে কোনো লেখা দেয়া হয়নি। না, ঠিক আলস্য বলা যাবেনা একে, বলা যায় জীবনের চক্করে পড়ে বেহুঁশ হয়ে যাবার ফল । চক্কর যে একেবারেই কেটে গেছে, তা নয়। কিন্তু কাটানোর চেষ্টায় রত আছি। একটা ছবি ব্লগ দিতে খুব ইচ্ছা করছিলো, তাই এই এলেবেলে লেখা ফেঁদে বসা আর কী!]
-----------------------------------------------------------------------------
ভোর আমার কাছে সব সময়ই একটা খুব ভালো লাগার সময়। কিন্তু সহজে তা দেখা হয় না বেশ রাত করে ঘুমানোর ফল ...
[এই লেখাটা কাল রাতে দিয়েছিলাম, কিন্তু বেশ কয়েকটি ছবি প্রাইভেসি সেটিংস এর গড়-বড়ের কারণে UNAVAILABLE দেখাচ্ছিলো। অতিথি হওয়ায় সম্পাদনাও করতে পারিনি, তাই মুছে দিয়ে সব নতুন করে আবারও দিলাম। যারা আগে মন্তব্য করেছিলেন সেই মন্তব্য গুলো মুছে যাওয়ায় প্রবলভাবে দুঃখিত। একবার মুছে আবারো পোষ্ট করা যদি খুব বিশাল কোনো অপরাধ না হয়, তবে মডারেটরদের এটা পুনরায় অনুমোদন করার অনুরোধ জানাচ্ছি ...]
আমরা বই খ ...
[বহুদিন কিছু লিখিনা, কলমের কালিতে জং ধরেছে। আজ একটু সময় পেলাম, কারণ বাসায় এসে রাত অব্দি অফিসের কাজের সাথে সহবাস করতে হবে না। তাই তাড়া নিয়ে আবোল-তাবোল একটা লেখা দিলাম। সচলের নীড় পাতাটা আমার লেখা না পেয়ে খুব হা-হুতাশ করেছে বলে গোপন তথ্য পেয়েছিলাম। আজ সেই দুঃখ ঘোঁচাতে এগিয়ে এলাম। কিন্তু ঝুলিতে এলে-বেলে কিছু ছবি ছাড়া আর কিছুই পেলামনা। কি আর করা, ঐসব ছবি নিয়েই আবলু-ঝাবলু লেখার ধান্দা কর...