রাতের শেষ প্রহরে ঝিমোতে ঝিমোতে নিঃসঙ্গ বাসটা এসে দাঁড়ালো ঘুমন্ত শহরের কার্নিশে।
শেষ যাত্রী মেয়েটাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল টার্মিনালে।
একটা ঘেয়ো কুকুর হতাশাময় ঘাউ করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিল।
পাশের টং দোকান থেকে কেউ এক বালতি ময়লা পানি ছুঁড়ে মারলো রাস্তায়।
সূর্য উঠতে এখনো ঢের দেরি।
রাতভর বিরতিহীন আলো দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের অবসন্ন বাতির ম্লান চোখে ধুলো জমা অন্ধকার।
রাতে ঘুমোবার আগে একবার ঘরের বাইরে যেতে হয়। ধূমপান প্রাণঘাতী জেনেও শ্বেত ফিল্টারের একটা তামাক শলাকা দুই ঠোঁটে চেপে রেখে একটা দিয়াশলাই কাঠির মাথা দিয়ে তার ঘরের পার্শ্বদেয়ালে আঘাত করতে হয়। সেই ছোট্ট বিষ্ফোরণের শিখা থেকেই বিশুষ্ক তামাক শলাকা যোগাড় করে নেয় প্রয়োজনীয় আগুন।
[justify]জামি কাকলির মোড়ে বাস থেকে নেমে পড়ে। ফুট ওভারব্রীজের ওপর দিয়ে হেঁটে ওপাড়ে বনানী মার্কেটের সামনে এসে সামান্য থামতে হয়। আবুল উলাইয়া থেকে ফজলুল রহমান বাবুর গলা শোনা যাচ্ছে। নিথুয়া পাথারে নেমেছি বন্ধুরে ধর বন্ধু আমার কেহ নাই। কেহ নাই কেহ নাই এই শব্দপুঞ্জের অর্থ এত মানুষের ভিতরে মাথায় খেলে না। মার্কেটের নীচতলার খাবারের দোকানের সামনে টিকলির দাঁড়ানোর কথা। নেই। মানে ক্লাস এখনো শ...
[justify]চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। ভালই আছি। শুধু মাঝে মাঝে এক কাপ চায়ের জল বসাতে গিয়ে দুই কাপ বসিয়ে ফেলি ভুলে। তারপর একটা অদ্ভুত জিদ হয়। তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি জল ফুটছে ফুটছে ফুটছে। জল শুকায়। চা-টাকে হতে না দিয়ে ঘরে চলে আসি। চলে গেছ দেখে খারাপ নেই আমি। এখনো ঠিক এক ঘন্টা ধরেই স্নান করি। যত্ন করে চুল আঁচড়াই। মনে করে সুগন্ধি দেই। তারপর পাখি বেরিয়ে পড়ে। তোমার পাখি উড়ে বেড়ায়, চোখে চোখ রেখে কথা ...
[justify]আমার আর কিছুতে ঢেউ লাগে না। মাঝে মাঝে অসম্ভব অসহ্য সাদা আলোর ধাক্কায় অন্ধ হয়ে যাই। ঘামতে থাকি।শ্বাস পর্যন্ত নিতে পারি না। সময় ভারি হতে হতে শুন্যে ভেসে পড়ে। ছোটন, তুই চলে গেলি আজ তিন বছর হয়ে গেল। কত বয়স ছিল তোর? বিশ। না বিশ ও তো পুরা করতে পারিস নি। তার আগেই …
ছোটন। আমার ছোট্ট ছোটন। তোর বাবার সাথে তোর কি সেখানেও ঝগড়া লাগে? বাপে ছেলে হাঙ্গামা লাগিয়ে রাখতি সারাদিন। তুই কি বাপের ভয়ে এ...