[justify]
১.
সিদ্দিকা কবীর আমাদের পরিবারে অচেনা নন। আম্মা তাঁকে অনেকদিন ধরেই চিনেন। রন্ধনশিল্পী হিসাবে তাঁর সুনাম ততদিনে পরিচিত মানুষের বাইরেও ছড়িয়ে গেছে। ১৯৭৮ সালে তাই ওনার লেখা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা বের হলে আম্মা সেটা কিনতে দেরি করেনি। যেসব বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতে দেখতে আমি বড় হয়েছি, সেগুলোর মধ্যে এই বইটার নাম সামনের দিকেই আছে। দুঃখের বিষয় আর পাঁচটা ছেলের মতো আমিও ওই বইটার ভেতরে বেশি উঁকি দেওয়ার তাড়না অনুভব করিনি। প্রতিদিন টেবিলে খাবার আসছে, আমরা প্রায়ই সেই খাবারের সমালোচনায় মুখর – এই রান্না কি মুখে দেওয়া যায়? ইত্যাদি নানান অভিযোগ ছাড়া রান্না, পুষ্টি আর খাদ্য পরিবেশনা - এই সবই বিরাট রহস্য রয়ে যায় আমার কাছে। সকালের দিকে একজন বাজার করছে, দশটা এগারোটার দিকে রান্না ঘর থেকে ছ্যাৎ-ছ্যাৎ শব্দ আর রেশমি ধোঁয়া – দুপুর টেবিলে খাবার, আমার কাছে এই ছিল রান্না স্বরূপ।
এখানে যারা যারা প্রবাসি আছেন, হাত তুলেন দেখিঃ কার কার বাসায় সিদ্দিকা কবীরের “রান্না খাদ্য পুষ্টি” বইটা আছে? কোথায় যেন পড়েছিলাম (হয় তো জাফর ইকবালের লেখা) যে প্রবাসি বাংলাদেশিদের বাসায় কোরান শরীফ না থাকলেও একটা “রান্না খাদ্য পুষ্টি” আছে।
এই বইএর সাথে আমার পরিচ্য় বেশ ছোট বেলায়। আমার মার একটা কপি আছে, প্রথম দিক কার মুদ্রণ, গা...