মাসশেষের শেষ বিকেলে অফিসের সবচেয়ে বড় সম্মেলন কক্ষটিতে হঠাৎ ডাকে হাজির হতে হল। একা নই, সাথে আরো জনাত্রিশেক সহকর্মী পাশাপাশি, দাঁড়িয়ে বা বসে। সবার চোখ সামনের দিকটায়, ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে দুহাত নাড়িয়ে, চোখ নাচিয়ে যে মানুষটা কথা বলছেন তাঁর দিকে। কী বলছেন সেটা আবছা শুনছি, পাশাপাশি দাঁড়ানো মানুষগুলোর চোখ আর মুখগুলোকে পড়ার চেষ্টা করছি- হঠাৎ করে আর আর সবকিছু ছাপিয়ে গাজীপুরের কোন এক পিকনিক স্পটে একটা দু
জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যখন এক পা দু পা করে ধীরে ধীরে ইমিগ্রেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম, খুব ইচ্ছা করছিল একবার পেছনে ফিরে দেখি স্বচ্ছ কাচের ওপাশ থেকে যারা আমার গমনপথের দিকে তাকিয়ে আছে তারা কে কি করছে। মিনিট খানেক আগে হাসিমুখে সবাইকে বিদায় দিয়ে তখনো আমার মনে হচ্ছিল এ বছরের অস্কার বিজয়ী অভিনেতাও মনে হয় আমার মত ভাল অভিনয় করতে পারে নাই। আমি বুঝতে পারছিলাম যে প্রতিটা পদক্ষেপে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে
[এ লেখাটা যাঁর জন্য তাঁর মন আজকে অসম্ভব খারাপ। মন খারাপ কখনো কখনো ব্যাখ্যাহীনরকম সংক্রামক। মন তাই আমাদেরও খারাপ। হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটি আবারও হাস্যোজ্জ্বল হয়ে উঠুন, কায়মনোবাক্যে তাঁর জন্য এই শুভকামনা।
...তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে....। মঙ্গল হোক সবার।]
এমনি করেই বিদায় যদি হয়,
হয় কি তবে থাকার কোন মানে?
নাই যদি কেউ বুঝলো কিছু কথা,
মূল্য কি আর রইল কোন খানে?
পেটের উপর ধুপ্ করে চরে বসে আমার ভাতিজা সামি, আমার প্রাণপ্রিয় বড় ভাতিজা। তারপরে মনে পড়ে যায়, আজকে আমার শেষ দিন ঢাকায়, আজকে রাত ১০টায় ফ্লাইট। ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে নিউ ইয়র্ক। আর ২ দিনের মাঝে না গেলে আমার ভিসা বাতিল হয়ে যাবে। মুখ আর মনের মাঝে তিক্ততা নিয়ে উঠে বসি। সামিকে জড়িয়ে ধরি, সকাল বেলাতেই চোখ ভিজে আসে সামির কথা ভেবে, আবার কবে দেখব সামিকে, জানি না। কিন্তু বাসায় এমনিতেই সবাই কাঁদুনে ...