"তুই কি ছাত্র??"
এই বলে হাতে পত্রিকাটা নিয়ে ছিঁড়ে ফালি ফালি করে ফেলেছিলেন পিতৃদেবতা, বেশ সিনেমাটিক ভঙ্গিতেই। অনেকক্ষণ ধরেই চুপচাপ থেকে যেভাবে গুমরে গুমরে উঠছিলেন তাতে বেশ একটা বিপদ যে আসন্ন তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু ব্যাপারটা যে এতোটা সিনেমাটিক হবে তা ধারনাও করতে পারি নাই। কোথায় চোখেমুখে ফিটিয়ে তুলার দরকার ফাঁসির আসামীর মত অনুতাপ, সেই জায়গায় ভুরভুরিয়ে কোত্থেকে যেন রাজ্যের হাসি পেয়ে গেলো। হাসি চাপতে চাপতে মনে করছিলাম কবে কোন সিনেমাতে এমন চমৎকার নাটকীয় দৃশ্যটা দেখেছিলাম। ভাগ্যিস সে মুহূর্তেই পিতৃদেবতা অনুধাবন করতে পারলেন পরীক্ষার আগের দিন নির্বিকার চিত্তে বইপত্র ছেড়ে পত্রিকায় মনোনিবেশকারী ধর্মবিমুখ ছেলের মস্তিষ্কের অসারতা, আর তাই সে যাত্রা অল্পের উপর দিয়েই বেশ বেঁচে গিয়েছিলাম।
নিরাসক্তি আমার বড় -
এমন কথা বল্লে যে,
গণকটুলির রায়বাবুকে
চেন নাকি, শুনি হে।
করছি না যে এই কাজটি-
এটা বলো এমন কি?
শুনলে তুমি বিষম খাবে-
রায়বাবু আজ বল্লো কি।
ন’নটি মেয়ে মাথার উপর-
নিজের তাহার তিনজনা,
তাদের মাঝে রইলো আরো
ভেসে আসা ছ’জনা।
রসুই ঘরে আনাজপাতি-
নুন-তেল তো হাতটানা।
তবুও মশাই আজকে উনি
পোষ্য নিল দু’জনা।
সিডর এলো, মঙ্গা এলো-
এলো আরও কত কি!
খুঁজে খুঁজে আগলে নিল-
মা-বাপহারা মে...