অনেকদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। লেখাটার মুখ্য উদ্দেশ্য আসলে যারা ‘বাংলা লেখা’ বিশেষত অভ্র অথবা রিদ্মিক নিয়ে লেখালেখি করে বা বিষয়টা জানে তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছানো। সেজন্য ফেসবুকে নিজের দেয়ালে না লিখে সচলায়তনের দ্বারস্থ হলাম। সম্প্রতি নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর নাম শুনে মনে পড়ে গেলো এই বিষয় নিয়ে লেখাটা আর হয়ে ওঠেনি। তাই ব্লগের উপর নতুন কোন আইন পাশ হবার আগেই আমি
এই লেখাতে আমি বাংলা ভাষায় কম্পিউটিং এর সম্পর্কে আরও কিছু মতামত তুলে ধরতে চাই। মোস্তফা জব্বার এর ব্যবসা ও তার উদ্ভাবন সম্পর্কে আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা আছে। যেভাবে আমার শ্রদ্ধা আছে নকিয়া এর মোবাইল ফোনের অবদানের প্রতি।
বিজয় কি বোর্ড নিয়ে সম্প্রতি ইন্টারনেট এ ঝড় উঠেছে। বিজয় কিবোর্ড এর মালিক মোস্তাফ জব্বার এর পক্ষ থেকে খুব সম্ভবত Google এর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে Copyright Infringement এর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গুগল জনপ্রিয় Ridmik কিবোর্ড কে গুগল প্লেষ্টোর থেকে সরিয়ে ফেলেছে। এই লেখাটি অনেক দিন ধরে লিখবার ইচ্ছে ছিল, আজ লিখেই ফেললাম।
এই গল্প মুক্তিযুদ্ধের সময়কার গল্প নিয়ে লিখা না; এটা ২ জন মুক্তিযোদ্ধার ব্যক্তিজীবন নিয়ে লিখা, যার একজন আমার বাবা, আরেকজন আমার মামা। আমি সবসময় নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি; জন্মের পরপরই যে ২ জন মানুষ সবার প্রথম রোল মডেল হিসাবে সামনে এসেছেন, তাদের ২ জনই মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে উনারা দেশের জন্যে কতো বড় সাফল্য বয়ে এনেছেন, সেটা নিয়েতো আর আলাদা করে বলার কিছু নাই। আমি বরং বলতে চাই উনারা ব্যক্ত
সবুজের বুকে মিশেছে কতটা লাল
এই ক্যানভাসে, অগ্নি ঝরানো দিনে
সূর্য পেরুল কতটা ক্রান্তিকাল
নবীন যুবক এসো আজ নেব চিনে।
সময়ের রথে কুহকের মায়াজাল
নিষ্ফল শ্রমে বিপন্ন আয়োজনে
বৃথাই ছুটেছে ভ্রান্ত উন্মাতাল
কুয়াশার মতো ভুল স্বপ্নকে কিনে।
কত গোলাপেরা কুঁড়িতেই গেছে মরে
কত বিপ্লব মাঝপথে গেছে থেমে
কত সুবাতাস বিরূপ তীরের তোড়ে
খরাদাহ হয়ে করুণ এসেছে নেমে।
প্রেতের হাসিতে সচকিত বুলবু ...
১.
লিনাক্সে বিজয়-এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সারিমের চমৎকার বিশ্লেষণী পোস্টটি দেখে কিছু ছোট ভাবনা মাথায় আসলো। সেগুলো বলার আগে বিজয়, মোস্তাফা জব্বার, অভ্র ও মেহ্দী সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অবস্থানটা বলা দরকার।
২.
আমি কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করি ১৯৯৭ সালের শেষ দিক থেকে এবং বাংলাতে লেখালেখির আগ্রহ (আগ্রহটা ইংরেজি ভালো না জানার কারণেও হতে পারে) থাকায় শুরু থেকেই ব ...
বেশ কিছুদিন ধরে অভ্র বনাম বিজয় এই নিয়ে অনলাইন বিতর্ক চলছে।এই বিতর্ক আদালত অবধি গড়িয়েছে। যদিও এই অমোঘ সত্য জানতে চন্দ্র গবেষক হওয়া প্রয়োজন হয়না; যে অভ্র অনলাইনে বাংলা ভাষাকে মুক্ত করে দিয়েছে, কোন আদালত তাকে ঠেকাবে! বিজয়ের গৌরব ভেবেছিলাম যাদুঘরে জমা আছে—সে যাদুঘর থেকে নেমে আদালত, মিডিয়া পাড়া আর শাসক কাঠামোতে দেন দরবার করছে অভ্রকে ক্রস ফায়ারে দেয়ার অভিলাষে।
বিজয় সফট ওয়ারটিকে তা...
[justify]
প্রকাশনাশিল্পের জনক হিসেবে সুবিদিত ইয়োহানেস গুটেনবার্গের নাম সবাই জানেন। তাঁর কল্যাণে পঞ্চবিংশ শতাব্দিতে মুদ্রণশিল্পে বৈপ্লবিক উন্নতি আসে, শুরু হয় ছাপাখানার যাত্রা। গুটেনবার্গ অগ্রপথিক ছিলেন, পরহিতৈষী নয়। তাঁর কাছ থেকে এমনতর প্রত্যাশাও ছিলো না কারও। ব্যাক্তিগত জীবনে তিনি নিজের উদ্ভাবনকে ব্যবসায়িক ভাবে প্রয়োগের প্রয়াস পেয়েছেন, এবং সে কারণে তাঁকে কেউ কটাক্ষ করে না। ...
রাঘবে বোয়ালে
যশের খেয়ালে
এভাবে দমালে
ফুটে কি ফুল কমলে?
দোকানের পসরায়
যতই ফুলই শোভা পায়
মুক্ত পথিক তবু বনফুলেই সুখ পায়
যতই সুবাস দিক দোকানের পসরায়
বনফুল সৌরভ চারিদিকে ছড়াবেই
মুক্ত পথিক মন বনফুলে মাতবেই।
লেখক - যাচিত বিবেক
অভ্রবিষয়ে জনাব মোস্তফা জব্বার তাঁর অভিযোগটা ঠিক কোন জায়গায় সেটাকে একদম সরাসরি প্রকাশ করেছেন, যেজন্য তাঁকে ধন্যবাদ। এটা এখন নিশ্চিত যে অভ্র বিষয়ে তাঁর সমস্যা একটিই, সেটা হলো অভ্রতে অপশন হিসেবে ইউনিবিজয় নামে একটি লেআউটের সংযোজন হয়েছে। কেন সমস্যা বোধ করছেন সেটাও তিনি জানিয়েছেন, তিনি বলছেন, অভ্রতে ব্যবহৃত ঐ ইউনিবিজয় লেআউটটি আসলে তাঁর বাজারজাত করা এবং বছর দুয়েকের খানিক বেশী আগে ...