আমার বিশ্বাস প্রতিটি মানুষের ছোট বেলাতেই কেউ না কেউ থাকে যে তার মনোজগতে প্রচণ্ড ভাবে প্রভাব ফেলে। কেউ না কেউ তার রুচির ধরনটা গড়ে দিতে থাকে— তার প্রাত্যহিক যাপিত জীবনের ভেতর থেকেই। যেমন আমার বেলায় ছিলো আমার ছোট মামা।
ছোট মামার যে কোন কাজে এসিস্ট্যান্ট হতে পারাটা ছিলো সে সময় আমার সব চেয়ে কাঙ্ক্ষিত কাজ। মামার এসিস্ট্যান্ট হয়েই বিজয় দিবসে নানুদের বাসার উঠান পুরোটা পতাকা দিয়ে সাজিয়েছি।
[justify]"পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জ্বলন্ত
ঘোষণার ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলে
নতুন নিশান উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক,
এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা।"---- শামসুর রাহমান
বিজয় দিবস এলে আমার খুব জানতে ইচ্ছে হয় ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর, সবাই কি করেছিলেন এই দিনে। দীর্ঘ ৯ মাসের অত্যাচার, অনাচার, অবিচার, সীমাহীন কষ্ট, সম্মুখ সমরে আজন্ম শত্রু পাকিদের সাথে সাথে পিছন থেকে হামলা করা দেশীয় কেউটেগুলোর ছোবল থেকে প্রতিমুহূর্তে লড়াই করে বেঁচে থাকা, যখন তখন নেমে আসা মৃত্যুভয় শেষে যেদিন সত্যিকার অর্থে বিজয় আসল, সবার মনের অবস্থা কি হয়েছিল। সবাই যুদ্ধের ভয়াবহ আঘাতে বিহবলিত, আতঙ্কিত। সব ছাপিয়ে বিজয় এসেছিল। কেমন ছিল সেই অনুভূতি?
[justify] বিজয় দিবস আসলেই কেবল উসখুস করতে থাকি আর চিন্তা করি, আজকে ৩৮ টা বছর চলে গেল, অথচ আমরা যেন দিনকে দিন পিছিয়েই পড়ছি, আর আমাদের পিছিয়ে পড়তে ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে ৭১ এর ঘাতক দালাল এবং তাদের নয়া রিক্রুট সাঙ্গপাঙ্গরা। এদিকে বিদেশে বসে বৃথা আস্ফালন করি, মুখে বড় বড় কথা বলি, কাজের বেলায় লবডঙ্কা। এভাবেই কি চলে যাবে সময়, আর সেই সুযোগে শয়তানের বাচ্চাগুলো আস্তে আস্তে আমাদের সকল না...