স্কুল পাশ দেওয়ার আগেই ভাগ্যক্রমে আমার হাতে এসেছিলো বাংলাদেশের অন্যতম আলোকিত মানুষ আরজ আলী মাতুব্বরের বই। উনিই প্রথম শিখিয়েছেন কোন বিশ্বাসকে বিনা প্রশ্নে মেনে না নিতে। তারও কিছুদিন পর পরিচয় হলো হুমায়ুন আজাদ নামের এক ভাষার যাদুকরের সাথে। প্রথা আর মুখোশে ঢেকে থাকা সমাজের সব প্রাচীরকে যিনি ভেঙে দিয়েছিলেন তার লেখা অদ্ভুত সুন্দর সব শব্দমালায়, জাগিয়ে দিয়েছিলেন মনের মাঝে সততা আর সাহসের বিস্তীর্ণ এক পাহাড়।
চিলতে ইতিহাস ১:
স্হান: শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কামালপুর।
বকসিগঞ্জ-জামালপুর-টাঙ্গাইল-ঢাকা মহাসড়কের প্রবেশপথ কামালপুরের বিওপিতে ছিল পাকিস্তানীদের শক্তিশালী ঘাঁটি।এই ঘাঁটিতে আক্রমণ করে সেটা নিজেদের দখলে আনতে যে জিনিসটার সবচে' বেশি প্রয়োজন ছিল তার নাম দুর্জয় সাহস।
সকাল থেকে শুরু। এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। এলার্মটা বন্ধ করে আবার একটু এপাশ-ওপাশ, শরীর-মন আরেকটু ঘুমাতে চায়। হঠাৎ মাথায় বিদ্যুতের ছোবল... কতক্ষণ গেল? বেশি ঘুমিয়ে ফেলিনি তো? শরীর-মন দুটোকেই অনেক কষ্টে বাগ মানিয়ে-তোয়াজ করে-ঝাড়ি দিয়ে বিছানা ছাড়তে হয়। হাতে মোবাইলটা নিয়ে বাথরুমে কাজ সারতে সারতে আবার মোবাইলের কোণার দিকে চোখ, ওরে বাবা- এতক্ষণ গেল কখন!
একুশে বইমেলায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত সচল ও অতিথি সচলদের বইয়ের তালিকা এই পোস্টটিতে যোগ করা হলো।
“তুমি কারও সাথে ছবি তুলতে যাবে না, সবাই তোমার সাথে ছবি তুলতে আসবে।“২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ তামিম ইকবাল যখন সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে ছবি তুলতে ছুটে গিয়েছিল কোচ ডেভ হোয়াটমোর তাকে নিবৃত্ত করেছিলেন।
(এই লেখাটি পত্রিকার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু বইমেলার সময় আর বেশি নেই আমি উইথড্র করে এখানে দিয়ে দিলাম।)
অনুষঙ্গ: একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সচলদের বইয়ের লিস্টি পেতে চাই।
একজন জানতে চাইলেন, কবে, কখন বইমেলায় যাচ্ছি।
পাশে চায়ের কাপটা নিয়ে বসে আছি বেশ কিছুক্ষণ। নানা ভাবনা চিন্তার মাঝে গরম ধোঁয়া ওঠা চা কখন যেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ইদানিং চা এর নেশাটা খুব পেয়ে বসেছে, অফিসে, ক্যাম্পাসে বাসায় একা ঘরে সব সময় চায়ের কাপটাকেই সবচেয়ে বেশি আপন মনে হয়। একবার কোলকাতার একটা বই এর দোকানে লেখা দেখেছিলাম, “Royalty, liberty, sensuality… you will find tea in all good things of life!” কথাটা বেশ মনে ধরেছিল। বেশ ছোট ছিলাম তখন, কিন্তু ও
সরষেফুল শীতের মাঠকে অন্যরকম সৌন্দর্য দেয়। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের আড়ালে হারিয়ে যায় প্রকৃতির ক্ষুদ্র অনেক সুন্দর। কবি গুরু যেমনটি বলেছিলেন, পার্বতমালা, সিন্ধু দেখতে গিয়ে ধানের শীষের ওপর শিশিরকণার সৌন্দর্য আমাদের দেখা হয়ে ওঠে না। শীতে সরষে ফুলের আগুনলাগা সৌন্দর্যও তেমন। মাঠ-ঘাটের অনেক সুন্দরকে আড়াল করে দেয়। বিশেষ করে ঘাসফুল তার নির্মম শিকার।
উচ্চশিক্ষার অকালসমাপ্তি করে একটা টিউবে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট আর দুই লাগেজে স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ভরে বছর দুই আগে চ্যাপেল হিল ছেড়েছিলাম। সেই থেকে মোটামুটি অস্তিত্ব থেকে ইলোপ হয়ে গিয়েছিলাম। সব সময় পরিকল্পনা মত সবকিছু হলে যা হয়, অনাকাঙ্খিত ব্যার্থতা গ্রহণ করার সক্ষমতা গড়ে উঠে না। বিদেশ বিভূঁই, যেখানে পায়ের নিচের মাটি সতত সরণশীল, এই ব্যাপার শেখার আদর্শ পরিবেশ না। তাই গত দুই বছর নিজের মুখোমুখি